সাংবাদিক নির্যাতন, নিয়োগপত্র ছাড়া নিয়োগ, অকারণে ছাঁটাই এবংছাঁটাইয়ের পর মাস শেষে বেতন ভাতা না দেওয়ার অভিযোগে আমাদের নতুন সময়, আমাদের অর্থনীতি ও আওয়ার টাইমস পত্রিকার প্রধান সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সামনে দুপুর ১২টায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র’র সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু বলেন, একজন সম্পাদক একজন রিপোর্টারের গায়ে হাত দিয়েছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। কোনো সম্পাদককে কোন রিপোর্টারের গায়ে হাত দিতে পারেন? এই কাজটা উনি ( নাঈমুল ইসলাম খান) নিয়মিত করেন। আমি তার এই অন্যায় আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই। উনি সম্পাদক হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না।
তিনি আরো বলেন, কোন সম্পাদকই কোন সাংবাদিকের সঙ্গে হাতাহাতি বা মারপিট করতে পারেন না। যে অন্যায় আচরণ করবে সে সম্পাদক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে না। অল্প টাকা বেতন, নিয়োগপত্র ছাড়া নিয়োগ, মিথ্যা অভিযোগে ছাঁটাইয়ের মতো অন্যায় আচরণ বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, তিনি রিপাের্টার্স মিটিংয়ে এমন অসম্মানজনক কথাবার্তা বলেছেন যা মানববন্ধনে উচ্চারণ করার মতো নয়। তাকে এ ব্যাপারে বলা হলে তিনি বলেছেন, সাংবাদিকতা করতে হলে এগুলো শুনতে হবে! এমন কথা একজন সম্পাদক কিভাবে বলেন? বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টস এর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য খাইরুজ্জামান কামাল বলেন, সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান তার গণমাধ্যমগুলো ছাটাই, নিয়োগপত্র ছাড়া নিয়োগ, ওয়েজবোর্ড ছাড়া বেতন দেয়া, নিয়মনীতি মালা মেনে না চলার সংস্কৃতি চালাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ পাবার পর আমরা তার করা আচরণের প্রতিবাদে মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি। আমরা চাই অচিরে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে এই ধরণের আচরণ বন্ধ হবে। মানববন্ধন চলাকালে আমাদের নতুন সময় পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার আনিসুর রহমান তপন এসে খায়রুজ্জামান কামালকে প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশের অনেক পত্রিকায় নিয়মিত বেতন হয় না, আপনারা শুধু মাত্র নাঈমুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধেই কেন মানববন্ধন করছেন?
উত্তরে খায়রুজ্জামান কামাল বলেন, আমরা একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি, এজন্য তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে দাঁড়িয়েছে। আমরা সব সময় গণমাধ্যমের মালিকপক্ষের অন্যায় অত্যাচার এবং অত্যাচারের বিপক্ষে।
দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার সাবেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক মুহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, আমি চার মাস কাজ করেছি। মাত্র দুই মাসের বেতন পেয়েছি। বাকি দুই মাসের বেতন আমাকে দেয়া হয়নি। আমাকে বলা হয়েছে, সাংবাদিকতা করবে আবার বেতন কেন দেয়া লাগবে? তার মানে কি দাঁড়াল – তারা দুর্নীতিকে উৎসাহিত করছেন। আমাকে নিয়োগপত্র দেয়নি। শুধু আইডি কার্ড দিয়েছে। আমি বেতন চাইতে গেলে আমার সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে। আমি এই ধরণের আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
মানববন্ধনে আরো অংশ নেন সিনিয়র রিপোর্টার সেলিম সামাদ, সাংবাদিক সাজেদা হক, রিপোর্টার তাসকিনা ইয়াসমিনসহ কয়েকজন সাংবাদিক।
এই সময় ‘বাংলাদেশের গণমাধ্যমের কর্ম পরিবেশ হোক নিরাপদ ও সম্মানজনক’, ‘ওয়েজবোর্ড ব্যতীত চুক্তিতে বেতন বন্ধ করো’, ‘নিয়োগপত্রবিহীন নিয়োগ বন্ধ করো’ লেখা প্লেকার্ড হাতে নিয়ে প্রতিবাদ করেন সাংবাদিকরা।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা