অনলাইন ডেস্ক
সোমবার (৩১ অক্টোবর) সকালে সদর থানা পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, আটককৃতকে থানা হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে রবিবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জেলার সদর উপজেলার শাকচর মোকলেস হাজি বাড়ি থেকে শিশুটিকে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় রাতেই শিশুটির মা সালমা আক্তার বাদি হয়ে সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযুক্ত হিসেবে প্রতিবেশী কলেজ ছাত্রী চৈতি আক্তারকে আটক করে। অপহৃত শিশু মুমতাহার পিতা ওই বাড়ির প্রবাসী বেলায়েত হোসেন।
শিশুটির মা সালমা আক্তার জানান, প্রতিবেশী লিটনের মেয়ে চৈতি আক্তার তার শিশু কন্যা মুমতাহাকে চকলেট খাওয়াবে বলে সন্ধ্যায় ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এর এক ঘণ্টা পর খোঁজ করতে গেলে তারা জানায় শিশুটিকে আরও আগেই ঘরে পাঠিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ঘরে শিশুটি যায়নি। এদিক সেদিক খোঁজ করতে গিয়ে রাস্তার উপরে তার পায়ের একটি স্যান্ডেল পড়ে থাকতে দেখেন। পরে অপরিচিত এক পথচারীর মাধ্যমে জানতে পারেন ওই শিশুকন্যাকে কেউ জোরপূর্বক সিএনজি অটোরিক্সায় উঠিয়ে নিয়ে যায়। এসময় শিশুটি কান্নকাটি করছিল।
অভিযুক্ত চৈতির দাদা আলী হোসেন জানান, কি কারণে এ ঘটনা হয়েছে আমার জানা নেই।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোসলেহ উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, প্রতিবেশী মেয়েটি ওই শিশুটিকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে লুকিয়ে রাখে। খবর পেয়ে সেখান থেকে শিশুকে উদ্ধার করা হয়। আটককৃতকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে এ ঘটনায় তার আত্মীয়সহ ৬ জন জড়িত। বিক্রির উদ্দেশ্যে শিশুটিকে অপহরণ করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত শিশুকে সকালে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা