অনলাইন ডেস্ক
রোমাঞ্চকর জয় দিয়ে গত আসরের ফাইনালে হারের মধুর প্রতিশোধ নিলো ভারত। কেননা গত আসরের ফাইনালে এই ভারতকে হারিয়েই শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশের যুবারা।
তবে ভারতীয় ইনিংসের শেষ দিকে বল হাতে আগুন ঝরান রিপন মন্ডল। একাই তুলে নেন চার উইকেট। কিন্তু তার জ্বলে উঠতে বড্ড দেরি হয়ে যায়। কেননা ততক্ষণে প্রতিবেশী দলটি পৌঁছে যায় জয়ের কাছাকাছি। দ্বিতীয় উইকেটে তারা তুলে ফেলে ৭০ রান।
ভারতীয় ইনিংসের শুরুতে আঘাত হানেন তানজিম হাসান সাকিব। তিনি দলীয় শূন্য রানে ফিরিয়ে দেন ভারতের ওপেনার হারনূর সিংকে। এর পরপরই রিপন বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারলে নাটকীয় কিছু ঘটতেই পারতো। আর পুঁজি আরও একটু বড় হলে শেষ চারে হয়তো উঠে যেত লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। সন্দেহ নেই আক্ষেপটা অনেক দিন পোড়াবে দেশের ছেলেদের।
ওপেনার অংকৃষ রঘুবংশী ৪৪ তুলে নিলে জয়ের পথ খুঁজে পায় ভারত। শেখ রশীদ ২৬ ও ক্যাপ্টেন ইয়াশ ঢুল ২০ রান এনে দিলে ৩০.৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য টপকে ১১৭ রান তুলে জয়ের পৌঁছে যায় গতবারের রানার-আপরা।
তার আগে ভারতের বিপক্ষে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ব্যাটিং বিপর্যয়ের শিকার হয় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। ভারতীয় ক্রিকেটারদের ক্ষুধার বোলিংয়ে ৩৭.১ ওভারে মাত্র ১১১ রানেই গুটিয়ে যায় জুনিয়র টাইগাররা।
অ্যান্টিগুয়ার কলিজ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে দেশের ছেলেদের শুরুটা ছিল যাচ্ছে তাই খারাপ। ৫৬ রানেই খুইয়ে ফেলে তারা ৭ উইকেট।
লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩০ রানের ইনিংস খেলেন এসএম মেহেরব। তার ব্যাটিং লড়াইয়ের সুবাদে মূলত শত রানের স্কোর পেরিয়ে যায় দেশের যুবারা। তার সঙ্গে আইচ মোল্লা ১৭ ও আশিকুর জামান ১৬ রান এনে দেন।
ভারতের হয়ে ১৪ রান খরচ করে তিন উইকেট নেন ম্যাচসেরা রবি কুমার। ভিকি ওস্টওয়াল পান দুটি উইকেট।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা