জাতীয় দলের হয়ে শেষবারের মতো তিনি খেলেছিলেন ২০১৪ সালে। ইউরোপে নিজের ক্লাবের হয়ে ইতি টেনেছিলেন তারও বছর দুই আগে। কিন্তু খেলাটা চালিয়ে যাচ্ছিলেন উরুগুয়ের স্ট্রাইকার দিয়াগো ফোরল্যান। এক বছরের বেশি সময় তাকে খেলতে দেখা যায়নি। সেই ফোরল্যানই এবার অবসর ঘোষণা করলেন।
গত বছর মে মাসে হংকংয়ের ক্লাব কিটচের হয়ে শেষবার মাঠে নেমেছিলেন ফোরল্যান। এরপর আর কোথাও খেলেননি তিনি। মঙ্গলবার বিদায়ী ভাষণে সংবাদমাধ্যমের কাছে ৪০ বছর বয়সী ফোরল্যান জানান, ‘এটা সহজ ছিল না। আমি চাইনি এমন কোনো সময় আসুক। কিন্তু আমি জানতাম এমন কিছু ঘটবে। আমি পেশাগতভাবে ফুটবল খেলা থামিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
২১ বছরের সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে সফলতা পাওয়ার পাশাপাশি ব্যক্তিগত নানা অর্জন জুড়ে রয়েছে ফোরল্যানের নামের সঙ্গে। আর্জেন্টিনার ইন্ডিপেন্ডিয়েন্টের হয়ে ক্লাব ফুটবলে অভিষেক হয়েছিল তার। এরপর ২০০২ সালে তিনি পাড়ি দেন ইউরোপে। নাম লেখান ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। প্রিমিয়ার লিগ এবং এফএ কাপের শিরোপা জিতে নেন।
দুই স্প্যানিশ ক্লাব ভিয়ারিয়াল ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে ২০০৪ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত খেলেন ফোরল্যান। লা লিগায় ২৪০ ম্যাচে করেন ১২৮ গোল। দুই বার জিতে নেন ইউরোপের লিগ ফুটবলের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার। ফোরল্যানের ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্তটি ছিল ২০১০ বিশ্বকাপে। সেবার উরগুয়েকে চতুর্থ স্থান পাইয়ে দেওয়ার মূল কান্ডারি ছিলেন তিনিই। ৫ গোল করেছিলেন ফোরল্যান। জিতে নিয়েছিলেন গোল্ডেন বল।
বিশ্বকাপের পর ২০১১-১২ সালে ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলানের হয়ে খেলেন ফোরল্যান। সেই মৌসুমে ব্যর্থ হওয়ার পর ইউরোপ ছেড়ে যান তিনি। এরপর ফুটবল জীবনের শেষ বছরগুলোতে একে একে ব্রাজিলের ইন্টারন্যাশিওনাল, জাপানের সেরেজো ওসাকা, উরুগুয়ের পেনিয়ারল, ভারতের মুম্বাই সিটি ও হংকংয়ের কিটচেতে খেলেন তিনি।
NB: This post is copied from bd-pratidin
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা