অনলাইন ডেস্ক
ইমরান খান বলেছেন, পিটিআই বর্তমান সরকার ব্যবস্থার অংশ হবে না এবং প্রাদেশিক সব আইনসভার আসন ছেড়ে দেবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা এই ব্যবস্থার অংশ হব না। আমরা সব আইনসভা থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। আমরা দেশের এই দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পিটিআই বর্তমানে পাঞ্জাব, খাইবার পাখতুনখাওয়া, আজাদ-কাশ্মীর এবং গিলগিট-বালতিস্তানে ক্ষমতায় রয়েছে।
পিটিআইয়ের এই চেয়ারম্যান বলেন, পিটিআই ধ্বংসযজ্ঞ অথবা বিশৃঙ্খলা এড়াতে ইসলামাবাদ অভিমুখী লং মার্চ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বিভিন্ন প্রদেশের পিটিআইদলীয় মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে শিগগিরই বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন। পরে পিটিআইয়ের সংসদীয় দলের সাথে বৈঠক করে কবে আইনসভা থেকে পিটিআইয়ের সদস্যরা পদত্যাগ করবেন সেবিষয়ে ঘোষণা দেবেন।
স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাইলে মৃত্যুর ভয় থেকে নিজেদের মুক্ত করতে হবে বলে রাওয়ালপিণ্ডির সমাবেশে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন ইমরান খান। তিনি বলেন, ভয় পুরো জাতিকে দাসে পরিণত করে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে পিটিআইয়ের এক সমাবেশে গুপ্তহত্যা চেষ্টার শিকার হন ইমরান খান। গত ৩ নভেম্বর ওয়াজিরাবাদে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে শনিবার প্রথমবারের মতো দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি।
পিটিআইয়ের এই প্রধান ইমাম হোসেনের শাহাদাতের ঘটনা এবং কর্তৃপক্ষের প্রতিশোধের ভয়ে কুফাবাসীরা কীভাবে তার সাহায্যে এগিয়ে আসেনি সেই ঘটনার কথা নেতাকর্মীদের স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কিংবা রাজনীতির জন্য তার দল রাওয়ালপিণ্ডিতে আসেনি। বরং নতুন নির্বাচন দেশের জন্য প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পিটিআই চেয়ারম্যান বলেন, ৯ মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তার দল জিতবে। এটা নিয়ে তিনি চিন্তা করছেন না। ইমরান বলেন, দেশের ইতিহাস সাক্ষ্য দেবে যে তিনি পাকিস্তানের হয়ে শেষ বল পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গেছেন। আমি এটাও বলতে চাই, যারা তাদের সম্পদের ব্যাপক বৃদ্ধি দেখেছেন এবং জাতির অধিকার পদদলিত করেছেন … ইতিহাসও তাদের দিকেও তাকিয়ে আছে এবং দেশের সাথে তিনি যা করেছেন তা লিপিবদ্ধ করে রাখছে।
এদিকে, অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন ছাড়া পিটিআই পাঞ্জাবের আইনসভা ভেঙে দিতে পারবে না বলে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ দাবি করেছেন। জিও নিউজের নয়া পাকিস্তান অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, শপথ নেওয়ার পর ক্ষমতাসীন দল বিধানসভা ভেঙে দিতে পারবে না।
প্রাদেশিক সব আইনসভা থেকে পদত্যাগে ইমরানের সিদ্ধান্তকে ‘তার ব্যর্থতার স্বীকার’ বলে মনে করছেন সানাউল্লাহ।
চলতি বছরের এপ্রিলে পাকিস্তানের সংসদে অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে পাকিস্তানজুড়ে সভা-সমাবেশের পাশাপাশি লংমার্চ করছেন তিনি। ক্রিকেট তারকা থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া ৭০ বছর বয়সী ইমরান খান দেশটিতে আগাম নির্বাচনের দাবিতে এই লংমার্চ পালন করে আসছেন।
গত ৩ নভেম্বর ওয়াজিরাবাদে লংমার্চে বক্তৃতা দেওয়ার সময় এক বন্দুকধারীর গুলিতে আহত হন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। হামলায় পিটিআইয়ের এক কর্মী নিহত ও দলটির কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন। এই ঘটনার পর লংমার্চ স্থগিত করে পিটিআই। এছাড়া লং মার্চে হামলায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা জেনারেল ফয়সাল নাসির জড়িত বলে অভিযোগ করেন ইমরান খান।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা