প্রাইভেট গাড়ি, সিএনজি অটোরিকশা ও ট্যাক্সি রিকুইজিশন করা যাবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ রায় দেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এবং ডিএমপির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোশতাক হোসেন।
এর আগে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশের ১০৩ (ক) ধারার অধীনে পুলিশ গাড়ি রিকুইজিশনের বিধান নিয়ে ২০১০ সালে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে জনস্বার্থে এ রিট আবেদন করেন। এ রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ২৩ মে রুল জারি করে করেন।
আদালত মামলাটি চলমান রেখেছেন বলে জানিয়ে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ গণমাধ্যমকে জানান, এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে কয়েক দফা নির্দেশনা দিয়েছেন। সেগুলো হলো- গাড়ি রিকুইজিশন অবশ্যই জনস্বার্থে করতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। রিকুইজিশন করা গাড়ি কোনো অফিসার তার ব্যক্তিগত বা পরিবারের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না। করলে অসদাচরণের জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রাইভেট গাড়ি, সিএনজি অটোরিকশা, ট্যাক্সি রিকুইজিশন করা যাবে না। রিকুইজিশন করা গাড়ির ব্যাপারে প্রত্যেক পুলিশ স্টেশনে তালিকা সংরক্ষণ করতে হবে। রিকুইজিশনের ব্যাপারে যে কোনো অভিযোগ পুলিশ কমিশনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।
এছাড়া রিকুইজিশন করা গাড়ির কোনো ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। গাড়ির পেট্রোল খরচ বহন করতে হবে। চালকদের খাবার খরচ দিতে হবে। ছয় মাসের মধ্যে একই গাড়ি দ্বিতীয়বার রিকুইজিশন করা যাবে না। নারী, শিশু, রোগী থাকলে সে গাড়ি রিকুইজিশন করা যাবে না। পুলিশ কমিশনার এ বিষয় একটি সার্কুলার ইস্যু করে সব পুলিশ অফিসারদের কাছে পাঠাবে এবং নির্দেশনা মানা নিশ্চিত করতে হবে বলেও রিটের পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান।
NB:This post is copied from bd-pratidin
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা