ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি পশ্চিমবঙ্গে নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) হবেই বলে কলকাতায় দাবি করেছিলেন। দিল্লিতে বিজেপি সভাপতি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসার ঠিক আগে একই দাবি তুললেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, আসামের ধাঁচে পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হবে। তাতে প্রায় দুকোটি মানুষ বাদ যাবে। বিদেশি নাগরিকেরা এসে রাজ্য তথা দেশের সম্পদ নষ্ট করছে। তা রুখতেই এনআরসি প্রয়োজন।
শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রিসার্চ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সেভ বেঙ্গল’ নামে একটি আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেছেন।
পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি রুখতে পথে নেমে প্রতিবাদ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ প্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন,মুখ্যমন্ত্রীর পুরনো অভ্যাস আছে কিছু হলেই রাস্তায় নেমে পড়া। বাড়ি থাকতে পারেন না। সেই অভ্যাস বজায় রাখতেই তিনি রাস্তায় নামছেন। ২০২১ সালের পরে তো রাস্তাতেই নামতে হবে। তবে যে-ই রাস্তায় নামুক, পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হবেই।
বাংলা এখন পাখির চোখ বিজেপি সভাপতির। রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে এদিন তিনি পশ্চিমবঙ্গে দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। গোষ্ঠিদ্বন্দ্ব ভুলে সকলকে এখন থেকেই ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতিতে ঝাঁপিয়ে পড়তে বলেছেন তিনি। জনসংযোগ বাড়াতে আসন্ন দুর্গাপুজোর মওসুমকে পুরো দস্তুর কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি। খোদ সভাপতি অমিত বাংলায় গিয়ে বেশ কয়েকটি পুজোর উদ্বোধন করতে পারেন। অমিতের আগে মহালয়ায় দলের কার্যকরী সভাপতি জেপি নড্ডা যেতে পারেন পশ্চিমবঙ্গে।
বৈঠকে অমিত রাজ্যে সদস্য সংগ্রহ অভিযানের খতিয়ান নেন। লোকসভা ভোটে জঙ্গলমহল ও উত্তরবঙ্গে ভাল ফল করলেও কলকাতা ও লাগোয়া এলাকায় ফল ভাল হয়নি বিজেপির। এখনও দেখা যাচ্ছে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়ায় সদস্য আশানুরূপ ভাবে বাড়ছে না। এই সমস্যা কাটাতে বিকল্প পথ খুঁজবে দল। প্রার্থী তালিকা তৈরির কাজও দ্রুত শুরু করতে চায় দল। ঠিক হয়েছে, প্রতি মাসে রাজ্যে সাংগঠনিক প্রস্তুতির পর্যালোচনা হবে। রাজ্যে বিজেপির কর্মসূচির বিরুদ্ধে ‘পুলিশের দমননীতি’র কথা জানানো হয় অমিতকে।
NB:This post is copied from kalerkantho.com
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা