যে বাসগুলো সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকে যাত্রী নিয়ে এখান থেকে সেখানে ছুটতে, সেগুলো স্টেশনে এভাবেই দাঁড়িয়েছিল।
দেশব্যাপী চলা পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন শ্রমিক নেতারা। এরপরও সারাদেশে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়নি।
দেশের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে ঢাকা এবং অন্যান্য এলাকার যান চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। অনেক যাত্রীই বাস স্টেশনে যাবার পর বাস না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন জানিয়েছে, তারা সড়ক পরিবহন আইন ২০১৯ এর সংশোধনী দেবে। কেননা এই আইনে এমন কিছু ধারা রয়েছে যেগুলো পরিবহন শ্রমিকদের জন্য অনেক বাড়তি চাপ তৈরি করছে।
আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক, পরিবহন, সেতু বিষয়ক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিবহন শ্রমিকরা আন্দোলন প্রত্যাহার করেছে। শিগগিরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, পরিবহন চালক ভাইদের লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়ে একটা জটিলতা ছিল। এর আগে গত বুধবার রাতে পরিবহন মালিকদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
‘তাদের দেওয়া দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। লাইসেন্স সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের জন্য চালকদের একটা সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তারা তাদের লাইসেন্স ঠিক করে নেবেন’ – জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনার পর পরিবহন শ্রমিকরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছে বলে জানান, নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান। কিন্তু এরপরও দেশের সবগুলোর জেলার সঙ্গে যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়নি।
যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার হলেও তারা প্রয়োজনীয় বাস পাচ্ছেননা। কয়েকজন টেলিভিশনে বাস ছাড়ার খবর পেয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখেন বাস চালু হয়নি। তখন তারা আবার বাড়ি ফিরে যান। এদের একজন ডা. সুলতানা আফরােজ বলেন, আমার বাড়ি যাওয়াটা খুব দরকার কিন্তু অস্থির সময় পার করেও বাড়ি যেতে পারছি না। খুব বিপদে আছি।
আরও পড়ুন : আয়ারল্যাণ্ডের রাষ্ট্রদূতের কাছে হাইকমিশনার সাঈদা মুনার পরিচয়পত্র পেশ
ফেসবুক :
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা