অনলাইন ডেস্ক
সিংহাসনের সাবেক উত্তরসূরি প্রিন্স হামজাহকে আটক কথা অস্বীকার করেছে সেনাবাহিনী। এরপরেই শনিবার একটি ভিডিওটেপের মাধ্যমে তিনি এই বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, কথিত একটি অভ্যুত্থান ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করার পর ওই ভিডিওটি পাঠান হামজা।
তারা জানিয়েছে, দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে লক্ষ্যস্থল করতে ব্যবহার করা হতে পারে এমন পদক্ষেপ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হামজাকে।
প্রিন্স হামজা স্থানীয় বিভিন্ন গোষ্ঠী নেতাদের সঙ্গে দেখা করার পর এ পদক্ষেপ নেওয়া হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, এই নেতাদের মধ্যে হামজা কিছুটা সমর্থন আদায় করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
প্রিন্স হামজা কোনো অন্যায় করার কথা অস্বীকার করে তিনি কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ নন বলে দাবি করেছেন।
হামজা জর্ডানের প্রয়াত বাদশা হুসেইন ও তার প্রিয় স্ত্রী রানি নূরের বড় ছেলে।
যুক্তরাজ্যের হ্যারো স্কুল ও রয়্যাল মিলিটারি একাডেমি, স্যান্ডহার্স্টের গ্র্যাজুয়েট হামজা যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়াশোনা করেছেন। তিনি জর্ডানের সশস্ত্র বাহিনীতেও দায়িত্বপালন করেছেন।
বাদশা হুসেইনের প্রিয় সন্তান হামজাকে ১৯৯৯ সালে জর্ডানের ক্রাউন প্রিন্স ঘোষণা করা হয়েছিল। হুসেইনের মৃত্যুর পর হামজাকে কম বয়স ও অনভিজ্ঞ বিবেচনা করে উত্তরাধিকারী হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি। তার বদলে আব্দুল্লাহ জর্ডানের বাদশা হন।
২০০৪ সালে বাদশা আব্দুল্লাহ হামজার ক্রাউন প্রিন্স খেতাব কেড়ে নেন। এতে রানি নূর মর্মাহত হন, কারণ তিনি তার বড় ছেলেকে বাদশা হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা