অনলাইন ডেস্ক
সোমবার (৯ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ কথা বলেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘এরমধ্যে অনেকেই ভ্যাকসিন নিয়ে নিতে পারবে হয়তো। তাতে ইউনিভার্সিটি আগে খোলা যেতে পারে। তারপরে কলেজগুলো।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী সংখ্যা কম। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানানো সম্ভব হবে হয়তো।
তিনি বলেন, ‘মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি। ফলে স্কুল খোলা নিয়ে আমাদের ভীষণ ভাবতে হচ্ছে।’
দীপু মনি বলেন, ‘আমরা যেভাবে প্ল্যান করেছিলাম সপ্তাহে একেকটা ক্লাস। সবাই একসঙ্গে আসবে না। ফলে এ রকম করা যেতে পারে। এখন তো বাচ্চারা ইফেক্টেড হচ্ছে। আমাদের তো নিচের দিকের ক্লাস সাইজ অনেক বড়। ঠাসাঠাসি অনেক বেশি। সামাজিক দূরত্ব মানানো যাবে না। স্কুলের বাচ্চাদের নিয়ে এখন দুশ্চিন্তাটা বেশি। আগে বাচ্চারা ইনফেক্টেড হচ্ছিল না, কিন্তু এখন হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নভেম্বর ডিসেম্বর জানুয়ারিতে করোনাভাইরাস একেবারেই কমে গিয়েছিল। যদি এরকম কমে যায় তাহলে আমরা পরীক্ষা নেওয়ার কথা ভাবছি। আমরা ডেটও ঘোষণা করে দিয়েছি। সুতরাং তখন তো আমরা স্কুলও খুলবো। যদি ওই পর্যায়ে নেমে যায়।’
দেশে করোনা শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। ভাইরাসের বিস্তার রোধে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। পরে দফায় দফায় তা বাড়ানো হয়। চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে কয়েক দফা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসে, তবে শেষ পর্যন্ত তা আর হয়ে উঠেনি।
এখন সেপ্টেম্বর মাসে কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খেলার বিষয়ে আলোচনা চলছে, তবে যতদূর সম্ভব শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের করোনার টিকার আওতায় আনার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মূলত এই টিকাপ্রদানের ওপর ভিত্তি করেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিকল্পনা করছে সরকার।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা