অনলাইন ডেস্ক
শুক্রবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৭৩ রানের বড় সংগ্রহ করে খুলনা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে এক বল হাতে থাকতেই ১২৫ রানে গুটিয়ে যায় বরিশাল।
প্রথম চার ম্যাচে রান না পাওয়ায় ফিরতি পর্বের প্রথম ম্যাচে এনামুল হক বিজয়কে আর একাদশে রাখেনি জেমকন খুলনা। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ম্যাচটিতে তার জায়গায় নামানো হয়েছে জাকির হাসানকে।
দুই দলের মুখোমুখি প্রথম লড়াইয়ে শেষ ওভারে ৪টি ছক্কা হাঁকিয়ে খুলনাকে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন আরিফুল হক। সেই পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়ার লক্ষ্যে আজ টস জিতে খুলনাকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তবে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি বরিশালের বোলাররা। প্রতিশোধের মিশনে বেশ কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে ব্যাটসম্যানদের।
খুলনার পক্ষে আজ আর ওপেন করতে নামেননি সাকিব আল হাসান। একাদশ থেকেই বাদ দেয়া হয়েছে এনামুল হক বিজয়কে। ফলে নতুন উদ্বোধনী জুটি হিসেবে খুলনার ইনিংস সূচনা করেন জহুরুল ইসলাম ও বিজয়ের জায়গায় সুযোগ পাওয়া জাকির হাসান। এ দুজনের জুটিতে ১৯ রান পায় খুলনা। জহুরুল আউট হন ১০ বলে মাত্র ২ রান করে। তাসকিন আহমেদের বলে ইনসাইড এজে বোল্ড হন জহুরুল।
তবে অপরপ্রান্তে নিজের সামর্থ্য প্রমাণ করে দেন বাঁহাতি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জাকির হাসান। ইনিংসের প্রথম দুই ওভারে বাউন্ডারি না পেলেও, তাসকিনের করা তৃতীয় ওভারে হাঁকান জোড়া চার। তিন নম্বরে নামা ইমরুল কায়েসও শুরু করেন সাবলীল ব্যাটিং। আফিফের করা পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে চার মারেন জাকির, শেষ বলে ছক্কা মেরে দেন ইমরুল। পাওয়ার প্লে’তে খুলনার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৪১ রান।
উইকেটে দুই বাঁহাতি থাকায় দুইপ্রান্ত থেকে দুই অফস্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ ও আফিফ হোসেন ধ্রুবকে আক্রমণে লাগিয়ে দেন অধিনায়ক তামিম। এ দুজনকে দেখেশুনেই খেলতে থাকেন জাকির ও ইমরুল। প্রায় তিন ওভারের বাউন্ডারি খরা কাটিয়ে দশম ওভারের শেষ বলে রিভার্স সুইপে চার মারেন জাকির। এতে অবশ্য দায় ছিল মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনেরও, হাতের বল ছেড়ে দেন তিনি। ইনিংসের মাঝপথ পেরিয়ে খুলনা করে ৬৭ রান।
এরপর হাত খুলে খেলা শুরু করেন দুই সেট ব্যাটসম্যান। যার সুবাদে পরের তিন ওভারে আসে ৩৪ রান। এর মধ্যে আবু জায়েদ রাহীর করা ১২তম ওভারেই ছিল তিনটি চারের মার। সে ওভারেই মাত্র ৩৩ বলে নিজের ফিফটি পূরণ করেন আজই প্রথম সুযোগ পাওয়া জাকির। হাফসেঞ্চুরি করতে তিনি হাঁকান ৮টি চার। তের ওভারেই দলীয় সেঞ্চুরি করে ফেলে খুলনা। ইনিংসের ১৫তম ওভারে ভাঙে জাকির-ইমরুলের জুটি।
কামরুল রাব্বির বোলিংয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি ইমরুল, ক্যাচ উঠে যায় তামিম ইকবালের হাতে। সাজঘরে ফেরার আগে ২ চার ও ১ ছয়ের মারে ৩৪ বলে ৩৭ রান করেন ইমরুল। উইকেটে এসে মুখোমুখি দ্বিতীয় বলেই দৃষ্টিনন্দন কভার ড্রাইভে চার মারেন সাকিব। কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে পারেননি সাকিব।
তাসকিনের ওভারে আরও এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলামের বোলিংয়ে ছক্কা মারার চেষ্টা লংঅনে ধরা পড়েন সাকিব। সীমানায় দাঁড়িয়ে দারুণ এক ক্যাচ ধরেন তৌহিদ হৃদয়। সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ১০ বলে ১৪ রান। তার আগে জাকিরকে ফেরান তাসকিন। দুর্দান্ত ব্যাটিং করা জাকির খেলেন ১০ চারের মারে ৪২ বলে ৬৩ রানের ইনিংস। এরপর ইনিংসে বাকিটা সাজান অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শেষ ৩ ওভারে খুলনা পায় ৪২ রান।
তাসকিনের করা ১৯তম ওভারে তিন ওয়াইডের সঙ্গে জোড়া চারের মারে আসে ১৯, শেষ ওভারে আসে আরও ১৪ রান। একই ওভারে জোড়া উইকেট শিকার করেন কামরুল রাব্বি। দ্বিতীয় বলে মিডউইকেট বাউন্ডারিতে দারুণ ক্যাচ ধরেন মেহেদি মিরাজ, সাজঘরে ফেরেন শামীম পাটোয়ারি। পরের বলে বোল্ড হন ১৪ বলে ২৪ রান করা মাহমুদউল্লাহ। তবে শেষের তিন বলে প্রথমে চার মারেন শুভাগত হোম। পরে সিঙ্গেল নিয়ে দেন আরিফুল হককে। শেষ বলে হাঁকানো ছক্কায় দলকে ১৭৩ রানে পৌঁছে দেন আরিফুল।
বরিশালের পক্ষে ৩ উইকেট নিয়েছেন কামরুল রাব্বি। তাসকিন ২ উইকেটের জন্য খরচ করেন ৪৩ রান। এছাড়া বাঁহাতি তানভিরের শিকার ১টি উইকেট।
একাদশ জেমকন খুলনা : সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), ইমরুল কায়েস, শুভাগত হোম চৌধুরী, আল-আমিন হোসেন, জহুরুল হক অমি, জাকির হাসান (উইকেটরক্ষক) শামীম পাটোয়ারী, আরিফুল হক, শফিউল ইসলাম ও শহীদুল ইসলাম।
ফরচুন বরিশাল : তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), মেহেদি হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, আবু জায়েদ রাহী, সুমন খান, আফিফ হোসেন ধ্রুব, তৌহিদ হৃদয়, ইরফান শুক্কুর (উইকেটরক্ষক), পারভেজ হোসেন ইমন, কামরুল ইসলাম রাব্বি, তানভীর ইসলাম ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
আক্রান্ত
১১৩০৫২৪৮৫
সুস্থ হয়েছে
৮৮৬৫১৫৯৬
মৃত
২৫০৫৯৯৫
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা