মহাসড়কে মালবাহী ট্রাক ও লরিতে বাড়তি ওজন বহন করলে রাস্তার মারাত্মক ক্ষতি হয়। তবে এ ক্ষতি অল্প মেরামতেই ঠিক হয় না বলে জানাচ্ছেন প্রকৌশলীরা। তাঁরা বলছেন নির্ধারিত ওজনের দ্বিগুণ ওজন বহন করলেই মহাসড়কের ১৬ গুণ ক্ষতি হয়, যার কারণে মহাসড়ক দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় এবং বিপুল অর্থ ব্যয়ে নতুন করে তা নির্মাণ করতে হয়।
এ বিষয়ে সওজ অধিদপ্তরের ঢাকা সড়ক সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান বলেন, ‘মহাসড়কে একটি গাড়ি সর্বোচ্চ ২২ টন ওজন বহন করতে পারবে। শেষ পর্যন্ত মন্ত্রণালয় তা ৩০ টন পর্যন্ত অনুমোদন দিয়েছে। এখন বালু ও পাথরবাহী গাড়ি ৫০ টন বা এর চেয়েও বেশি ওজন পরিবহন করছে। নির্ধারিত ওজনের দ্বিগুণ ওজন বহন করলেই মহাসড়কের ১৬ গুণ ক্ষতি হয়। এ নিয়ে আমরা বড় সমস্যায় আছি।’
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে বেশি ওজনবাহী গাড়ি চলছে। তার ওপর এর দেড়-দুই কিলোমিটারের মাটির নিচের অংশ নাজুক উল্লেখ করে সবুজ উদ্দিন খান স্বীকার করেন, ‘মেরামতে অর্থ খরচ হলেও তা টিকছে না। এ জন্য সড়কটি নতুন করে নির্মাণ করতে হবে।’
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ড. সামছুল হক বলেন, বিটুমিনের তৈরি মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি জমে থাকে। এ পানি সরানোর ব্যবস্থা করা হয় না স্থায়ীভাবে। আবার কোথাও কংক্রিটের অংশ (রিজিড পেভমেন্ট) নির্মাণ করার দরকার হলেও তা করা হচ্ছে না। মহাসড়কে ছোট গর্ত বড় হতেই থাকে। বিশ্বের উন্নত দেশে মহাসড়ক বা সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আলাদা জনবল থাকে। তাদের মজুরি নির্ধারিত থাকে। এই নির্ধারিত জনবল তাদের আয়ের প্রয়োজনেই নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে। আর আমাদের দেশে মহাসড়ক বলতে যা বোঝায় তা এখনো সে হারে বাড়েনি। মহাসড়ক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নীতিমালার খসড়া করা হয়েছে বহু বছর আগে। তা চূড়ান্ত করা হয়নি। এ ছাড়া রক্ষণাবেক্ষণের তহবিল সংগ্রহের জন্য আলাদা বোর্ড করা হয়েছে। এ বোর্ডেরও কোনো কর্মকাণ্ড আমরা দেখছি না।
তিনি বলেন, সরকার আইন করে বলেছিল, মহাসড়কে ২২ টনের বেশি ওজনবাহী গাড়ি চলাচল করতে পারবে না। তা মানা তো হচ্ছেই না; বরং এই আইন, নীতি না মানার জন্য সরকারের ওপর চাপ তৈরি করা হয়েছিল। এমন অবস্থায় সরকার কঠোর অবস্থা থেকে সরে আসে। আসলে অতিরিক্ত ওজনের কারণে মহাসড়ক নির্ধারণ করে দেওয়া জীবন পর্যন্ত টিকতে দিচ্ছে না। বিভিন্ন দেশে না চললেও আমাদের দেশে বিভিন্ন দেশের বড় পণ্যবাহী গাড়িগুলো চালানো হচ্ছে অতিরিক্ত ওজনসহ। এটা নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।
NB:This post is collected from kalerkantho
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা