অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা-টোকিও রুটে আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্লাইট চালু করা হবে। এ ছাড়া নারিতা থেকে কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম ও সিডনিতে ফ্লাইট কানেক্টিং দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। একইভাবে কোড শেয়ারিং ও ইন্টারলাইনে ইউরোপের বেশ কয়েকটি গন্তব্যেও ফ্লাইট চালানোর উদ্যোগ নিয়েছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান সংস্থা। গতকাল রোববার মিট দ্য প্রেসে এসব তথ্য জানান বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম। রাজধানীর কুর্মিটোলার বলাকা ভবনের কনফারেন্স রুমে ওই অনুষ্ঠান হয়।
বিমানের এমডি বলেন, ‘আমরা টরন্টো রুটে ফ্লাইট বাড়ানোর চেষ্টা করছি। রুটটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।’
বর্তমানে বিমানের নিজস্ব বহরের একটি অংশ অব্যবহৃত থাকার পরও এয়ারবাস থেকে নতুন উড়োজাহাজ কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে কেন—সে প্রশ্নের মুখেও পড়েন শফিউল আজিম। জবাবে তিনি বলেন, এমিরেটস, কাতার, টার্কি এয়ারসহ বিশ্বের অনেক দামি এয়ারলাইন্সেরই মিক্সড ফ্লিট রয়েছে। এতে মূলত এয়ারলাইন্সের সক্ষমতাই প্রমাণ করে, সুনামও বাড়ে। আমরা এখন এমন অবস্থায় গেছি যে, এয়ারবাসের মতো কোম্পানিও বিমানের কাছে এসে প্রস্তাব দিচ্ছে ফ্লাইট কেনার জন্য। আমরা এরই মধ্যে এ বিষয়ে স্টাডি করেছি, আরও করব। এটা তো হঠাৎ করে কেনা যায় না।
বিমানের সাম্প্রতিক কিছু উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম তুলে ধরে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, সুদান প্রবাসীদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে গালফ এয়ারের সঙ্গে কোড শেয়ার চুক্তি করা হবে। এর মাধ্যমে ঢাকা থেকে বাহরাইনে যাত্রী পরিবহনে পারস্পরিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে। চেন্নাই ফ্লাইট চালুর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আগামী শীতকালীন ফ্লাইট সূচিতে চেন্নাই ফ্লাইট রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া অনলাইনে চেক-ইন, সিট সিলেকশন, ডেট চেঞ্জ ইত্যাদি সেবা এরই মধ্যে চালু করা হয়েছে। নতুন আঙ্গিকে বিমানের লয়্যালিটি প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে। আগামীতে এটিকে আরও আপগ্রেড করা হবে এবং নতুন নতুন ফিচার যোগ করা হবে। শিগগির সপ্তাহে সাত দিন সেবা প্রদানের জন্য আন্তর্জাতিক মানের কল সেন্টার চালু করা হবে। এ ছাড়া ট্রাভেল এজেন্সি পোর্টাল করা হয়েছে।
নারিতায় ফ্লাইট চালুর বিষয়ে বিমানের কর্মকর্তারা বলছেন, ১ সেপ্টেম্বর থেকে ফ্লাইট চালু হবে। সপ্তাহে তিনটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করার চিন্তা রয়েছে। জাপানের রাজধানী টোকিও থেকে দেড় ঘণ্টার দূরত্বে নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অবস্থান। এ রুট চালুর ফলে বাংলাদেশে কর্মরত জাপানি নাগরিক, দুই দেশের শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীরা সরাসরি জাপানে যাওয়া-আসা করতে পারবেন। বর্তমানে তারা মালয়েশিয়া, চীন বা থাইল্যান্ডের এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে ট্রানজিট নিয়ে জাপান যাচ্ছেন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা