অনলাইন ডেস্ক
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) একনেক সভা শেষে মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ এ তথ্য প্রকাশ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
বিবিএসের হিসাবে আগস্টে দেশে মূল্যস্ফীতি যেখানে পৌঁছেছে, তা গত ১৩৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। আগস্ট মাসে মূল্যস্ফীতি অনেক বেড়ে যাওয়ায় এ তথ্য এত দিন প্রকাশ করা হয়নি। সেপ্টেম্বরে এসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে যাওয়ায় সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে একসঙ্গে দুই মাসের মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করা হয়।
মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করতে গিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সার্বিক পরিস্থিতির কারণে দেশে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে সব পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। তবে এখন মূল্যস্ফীতি কমতির দিকে। সামনে তা আরও কমবে।’
প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, আগস্টে মূল্যস্ফীতি ১১ বছর ৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে গেলেও সেপ্টেম্বরে তা কিছুটা কমেছে। গত মাস শেষে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১০ শতাংশ। এ নিয়ে পরপর দুই মাস মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে রয়েছে। জুলাইয়ে দেশে মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং গবেষণা সংস্থা সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, সরকারের হিসাবের বাইরে বিকল্প হিসাব করলে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের কম হবে না। বিশেষত প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের জন্য মূল্যস্ফীতি আরও অনেক বেশি। কারণ, খাদ্যপণ্যের পেছনেই তাদের আয়ের একটা বড় অংশ ব্যয় হয়। এ পরিস্থিতিতে তারা খুব কষ্টে আছে। সরকারি হিসাবের ৯ থেকে সাড়ে ৯ শতাংশ মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য উদ্বেগের। সার্বিক পরিস্থিতিতে মনে হয়, আগামীতে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে।
ড. সেলিম রায়হানের পরামর্শ, বাজারে পণ্য সরবরাহ ঠিক রাখতে হবে। বিকল্প আমদানির উৎস খোঁজার চেষ্টা করতে হবে। দরিদ্র মানুষের জন্য সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি আরও বাড়াতে হবে। কারণ, এগুলো পর্যাপ্ত নয়। বিতরণে আছে অস্বচ্ছতা।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা