বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ৪৭ ভারতীয় জেলে। পশ্চিমবঙ্গের কাঁকদ্বীপে ৪টি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। দেশটির উপকূলরক্ষী বাহিনী অভিযান চালিয়ে ৩৪ জনকে উদ্ধার করেছে। এতে নিখোঁজ রয়েছে আরো অন্তত ২৫ জন। বৃহসপতিবার থেকে সমুদ্রের অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে। বেশির ভাগ ট্রলার ফিরে গেলেও প্রায় ১০০ ভারতীয় ট্রলার ঝড়ের কবলে পড়ে। এরমধ্যে ৪টি ট্রলার ডুবে যায় ও বেশির ভাগই ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে আসে বাংলাদেশে। ভারতীয় কোস্টগার্ডরা বাংলাদেশি কোস্টগার্ডকে তাদের এফবি তারা শঙ্কর নামের ট্রলারকে খুঁজে দিতে অনুরোধ জানায়।
বাংলাদেশি নৌবাহিনীর একটি জাহাজ পশুর নদীর মুখ থেকে এফবি তারা শঙ্কর ও এর জেলেদের উদ্ধার করে। তবে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ সন্দেহ করছে যে, ভারতীয় জেলেরা মাছ ধরতে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় প্রবেশ করেছিল। এরপর ঝড় শুরু হলে তারা বাংলাদেশি ভূখণ্ডে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। উল্লেখ্য, প্রায়ই ভারতীয় জেলেদের বিরুদ্ধে ভালো ইলিশ ধরতে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় প্রবেশের অভিযোগ পাওয়া যায়। এফবি দুর্গা ট্রলারে ছিল প্রবীণ মাঝি রবি দাস। প্রায় পঁয়ত্রিশ বছর ধরে সমুদ্রে যাচ্ছেন তিনি। তিনি ঝড়ের বর্ণনায় বলেন যে, তিন-চার তলা বড় ঢেউ! ট্রলার নিচে নামছে আর উঠছে। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। বেঁচে ফিরবো ভাবিনি। চোখের সামনেই দেখলাম, ডুবে গেল এফবি নয়ন ট্রলার। ওখানে জনা পনেরো ছিল। কেউ কাউকে উদ্ধার করতে এগিয়ে যাবে- এমন পরিস্থিতি ছিল না। আরেকটি ট্রলারে ছিল অমল দাস, অরুণ দাস, প্রসেনজিৎ দাস নামের জেলেরা। তারা জলে পড়ে যান। তিন-চার ঘণ্টা ভেসে ছিলেন। শেষমেশ অন্য একটি ট্রলার এসে তাদের উদ্ধার করে।
NB:This post is copied from mzamin
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা