খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন হচ্ছে না কেন, এ জন্য দায়ী কে? ইত্যাদি প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং জাসাসের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক হেলাল খান বলেছেন, ‘আপনারা যারা আমেরিকায় আছেন, তারা সৌভাগ্যবান। নিরাপদে আছেন। স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছেন। অপরদিকে, আমরা যারা বাংলাদেশে থাকি তারা নির্ভয়ে মনের কথা বলবো, ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেব- সেটি কল্পনাও করা যায় না। আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার পরিকল্পনা নিলেই দেখা যায় পুলিশি হানা। এজন্য খুবই খারাপ অবস্থায় আছি বাংলাদেশে’।
‘খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি’তে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সামনে ৫ অগাস্ট সোমবার যুক্তরাষ্ট্র জাসাস, যুবদল, ছাত্রদলের সম্মিলিত উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন হেলাল খান।
এ সময় তিনি আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে আরও বলেন, ‘খুবই ভালো একটি জায়গায় এ কর্মসূচি হচ্ছে। কারণ, এখানকার স্লোগান ছড়িয়ে পড়বে গোটাবিশ্বে।’
‘বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ফরমায়েশি রায়ের মাধ্যমে সাবেক খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে অনির্বাচিত সরকারের লুটতরাজ অবাধে চালানোর অভিপ্রায়ে। এ অবস্থায় জাতিসংঘের এই শহর থেকেই খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন ত্বরান্বিত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্যের বিকল্প নেই,’ বলেন হেলাল খান।
যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের সভাপতি আবু তাহেরের সভাপতিত্বে যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা এম এ বাতিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ বিক্ষোভ সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা দলের সেক্রেটারি সুরুজ্জামান ক্ষোভের সঙ্গে ওই প্রশ্নের অবতারণা করে বলেন, ‘দেড় বছর অতিবাহিত হচ্ছে ম্যাডামের (খালেদা) কারাবাসের। অথচ ন্যূনতম একটি আন্দোলনও রচিত হয়নি। কেন হয়নি। এটি কী মহাসচিবের সাহসের অভাবে, নাকি কথিত ঐক্যফ্রন্টের আপসকামিতা নীতি গ্রহণের কারণে। প্রবাস থেকে আমরা এ প্রশ্নের জবাব চাই।’ এ সময় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোশারফ হোসেন সবুজ বলেন, ‘ঢাকা থেকে বিএনপির অনেক নেতা আসেন। তারা কোনও ধরনের সভা আহ্বান করেন না। এমনকি ৬ বছর যাবৎ যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি নেই, সে ব্যাপারেও তাদের কোনও আগ্রহ নেই। অধিকন্তু তারা কোনও কোনও ব্যক্তির ড্রয়িং রুমে বসে এই প্রবাসেও অনৈক্যকে উস্কে দিয়ে গেছেন। এক্ষেত্রে আপনি হেলাল খান ব্যতিক্রম। যখনই নিউইয়র্কে আসছেন, তখনই নানা কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।’
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন বলেন, ‘বিচারের নামে প্রহসনের নাটক চালিয়ে ম্যাডামকে জেলে রাখা হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনা ও তার চাটুকাররা ভুলে গেছেন যে, এমন অন্যায়-অবিচারের প্রতিফল কতটা ভয়ংকর হতে পারে।’
যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক এম এ বাতিন বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ত্বরান্বিত করতে এই প্রবাস থেকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন রচনা করতে হবে। তাই আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যের পরিক্রমায় আন্তর্জাতিক জনমত সুসংহত করি।’
নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির নেতা মাহফুজুল মাওলা নান্নু ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে কারাগারে আটক রেখে শেখ হাসিনা পুনরায় বাংলাদেশে বাকশালী রাজত্ব কায়েম করতে চাচ্ছেন। কিন্তু বিএনপির আদর্শে উজ্জীবিতরা তা কখনোই হতে দেবে না।’ আরও বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের সাধারণ সম্পাদক কাওসার আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম জনি, জাসাসের সহ-সভাপতি শেখ হায়দার আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক তাহমিনা আকতার, রাশেদা মুন, নিউইয়র্ক স্টেট জাসাসের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি এলিজা আকতার মুক্তা ও শামীম আহমেদ, ব্রুকলীন জাসাসের সভাপতি আব্দুল মোমেন সোহেল, আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি পরিষদের সভাপতি শাহাদৎ হোসেন রাজু প্রমুখ।
সমাপনী বক্তব্যে সমাবেশের সভাপতি আবু তাহের অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি প্রদান এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
NB:This post is copied from bd-pratidin
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা