শেখ মোঃ শিমুল, মুন্সীগঞ্জঃ সবকিছুকে পাড়লেও করোনা ভাইরাস পারেনি রুখতে পদ্মা সেতুর স্প্যানকে। করোনা ভাইরাস আতঙ্ক দেশ ও সারা বিশ্বকে করে দিয়েছে বিচ্ছিন্ন। অনেক দেশ ও অঞ্চল লকডাউন হয়ে পড়েছে তার মধ্যেই বসানো হলো পদ্মা সেতুর ২৭তম স্প্যান। এ স্প্যানি বসানো হয়েছে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ২৭ ও ২৮ নম্বর পিলারের উপর। এরি মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হলো পদ্মাসেতুর ৪,০৫০ মিটার। ২৬তম স্প্যান বসানোর ১০ দিনের মাথায় বসানো হলো এ ২৭তম স্প্যানটি। আর মাত্র বাকি ১৪টি স্প্যান।
করোনা যখন থামিয়ে দিয়েছে অর্থনীতির চাকা। দেশেও সরকারি-বেসরকারিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা। জনসমাগম যাতে না হয় সেজন্য সকলকে দূরত্ব বজায় রাখাসহ সকলকে নিজ বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে অধিক জেলার দোকানপাট, শিল্প-কারখানা ও পরিবহন। দেশ যখন করোনা যুদ্ধে এর মধ্যেও করোনা রুখতে পাড়েনি পদ্মা সেতুর কর্মযজ্ঞকে। এর মধ্যেই বসানো হলো এ স্প্যানটি।
শনিবার (২৮ মার্চ) সকাল ৯টা ২০ মিঃ দিকে স্প্যানটি পিলারের উপর বসানো হয় নিশ্চিত করেছেন সেতু প্রকৌশলী। এর আগে শুক্রবার (২৭ মার্চ) সকালে মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ভাসমান ক্রেন দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় স্প্যানটিকে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকায় অল্প সময়ের মধ্যেই স্প্যানটি স্থাপন করা হয়।
পদ্মা সেতু(মূল সেতু) নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান, এ স্প্যানটিকে ক্রেনে করে আনা ও পিলারে বসা পর্যন্ত দেশী-বিদেশী প্রায় ১৫০ শ্রমিক কাজ করতে হয়। পদ্মা সেতুতে চীনা কর্মী রয়েছে ৯৮০ জন। এর মধ্যে চীনে তার নিজ দেশের নববর্ষ উদযাপনে গিয়েছিলো ৩৩২ জন। করোনার কারণে এরা আটকা পড়লেও ইতোমধ্যে কর্মস্থলে ফিরেছে ২১২ জন কর্মী। চীনে করোনার কারণে এখনও আটকে পড়েছে ১২০ জন চীনা শ্রমিক। তবে আটকে পড়া এ চীনা শ্রমিকরা ল্যাবার পর্যায়ে কাজ করতো তার আর আসবে না। দেশি শ্রমিকেরও একটি অংশ করোনা অাতংকে কাজে যোগদান করতে পাড়ছেনা। তিনি আরো বলেন, এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে আরো দুইটি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্প্যান বসাতে গিয়ে শ্রমিকরা নিজেরাই দূরত্বে থাকে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা