সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার : কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে সন্দেহ হলে আইইডিসিআর এর হটলাইন নম্বরে ফোন করুন, আমরা আপনার বাড়িতে যাব । এখন পর্যন্ত শুধু রােগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এ করোনা ভাইরাস সনাক্তকরণ পরীক্ষা হচ্ছে। এটি বাইরের কোন প্রতিষ্ঠানকে পরীক্ষার সুযোগ দেয়া হয়নি।
সোমবার (১৬ মার্চ) আইইডিসিআর এ নিয়মিতি ব্রিফিংয়ে পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা একথা বলেন।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যা লোকাল টান্সমিশনে আছে পরিবারের মধ্য থেকে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছড়াচ্ছে। যদি আমরা সব নিয়ম মেনে না চলি সেক্ষেত্রে এটি সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়বে। সেই কারণে আমরা এখন পর্যন্ত আইইডিসিআর শুধু এই পরীক্ষা টি করছে। আমাদের কারা পরীক্ষা করবে। সেই ব্যবস্থা নেয়া আছে। আমাদের এখন পর্যন্ত সংক্রমণের সংখ্যা এমন হয়নাই বা সাসপেক্টেড রোগীর সংখ্যা এমন হয়নাই যে আইইডিসিআর পরীক্ষাগুলো করতে পারবে না। সুতরাং আইইডিসিআর এখন পর্যন্ত কার্যকরভাবে করছে।
তিনি বলেন, এতদিন আইইডিসিআরে এসে লোকজন স্যাম্পল দিয়ে যেত। আমরা আর এই স্যাম্পল নেব না। এখন আমাদের নম্বরগুলোতে ফোন করবেন। আমাদের চিকিৎসক কথা বলবে। এরপর প্রয়োজন হলে আমাদের লােক গিয়ে আপনাদের স্যাম্পল নিয়ে আসবে।
তিনি বলেন, অন্যান্য যায়গায় যদি এই পরীক্ষাটি দেয়া হয় এবং অনেক যায়গা থেকে আমাদের অনেকেই প্রশ্ন করছে যে আমরা কোন রাপিড টেস্ট দিতে পারি কিনা! স্ক্রিনিং করা হবে। স্ক্রিনিং করার জন্য আইইডিসিআরে প্রেরণ করা হবে। সেক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত র্যাপিড টেস্ট নেই যেটাকে আমরা খুবই বিশ্বাসযোগ্য মনে করতে পারি। যদি টেস্ট কাউকে করতে দেয়া যায়, সেখানে ফলস নেগেটিভ হবার আশংকা সবচেয়ে বেশি। যত ফলস নেগেটিভ হবে তার মানে হচ্ছে সংক্রমণ রয়েছে কিন্তু পরীক্ষা পদ্ধতির জন্য নেগেটিভ।
তিনি বলেন, তখন তাকে আমরা ছেড়ে দেব কিন্তু কমিউনিটিতে সংক্রমণের জন্য থেকে যাবে। এই রিস্কটা আমরা এই মুহুর্তে নিতে পারব না, সেজন্য আমরা কোথাও র্যাপিড টেস্টের ব্যাপারে রিকোমেন্ড করছি না। অন্যান্য হাসপাতালে পরীক্ষা করার কোন প্রয়োজন এই মুহুর্তে নেই। এটা লোকাল ট্রান্সমিশনের সাথে সম্পর্ক না। এটার সম্পর্ক হচ্ছে রোগীর লোক কতখানি? আমরা সেই স্যাম্পলগুলো এনে সময় মতো পরীক্ষা করতে পারছি কিনা এটা তার উপরে ডিপেন্ড করে।
তিনি জানান, গত ২১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দেশে ফেরা ৬১৬০৭৫জনের স্ক্রিনিং করা হয়েছে। কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন এমন সন্দেহে বিভিন্ন হাসপাতালে অন্ততঃ ল্যাবরেটরি পরীক্ষা পর্যন্ত আইসোলেশনে আছেন তাদের সংখ্যা ১০ জন। বিদেশে কোভিড -১৯ আক্রান্ত দেশ থেকে আগত যাত্রী যারা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন তাদের সংখ্যা ৪ জন।
আইইডিসিআর এর হটলাইনের নম্বরসমূহ
কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে করণীয়
* নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে দুই হাত ধোবেন (অন্তত ২০ সেকেন্ড যাবৎ) * অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করবেন না * ইতোমধ্যে আক্রান্ত এমন ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন * কাশি শিষ্টাচার মেনে চলুন (হাঁচি/কাশির সময় বাহু/ টিস্যু/ কাপড় দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন) * অসুস্থ হলেঘরে থাকুন, বাইরে যাওয়াঅত্যাবশ্যকহলেনাক-মুখঢাকারজন্য মাস্ক ব্যবহারকরুন * কারো সাথে হাত মেলানো (হ্যান্ড শেক), কোলাকুলি থেকে বিরত থাকুন * জরুরী প্রয়োজন ব্যতীত বিদেশ ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকুন এবং এ সময়ে অন্য দেশ থেকে প্রয়োজন ব্যতীত বাংলাদেশ ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করুন * অত্যাবশ্যকীয় ভ্রমণে সাবধানতা অবলম্বন করুন * অত্যাবশকীয় নয় এমন সব জাতীয়-আন্তর্জাতিক সভা-সমাবেশ-সম্মেলন আয়োজন না করাই ভাল * অতি বয়স্ক, দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতায় (ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, অ্যাজমা, কিডনী সমস্যা, ক্যান্সার প্রভৃতি) ভুগছেন এমন ব্যক্তিগণ ভীড় এড়িয়ে চলুন
Wonderful blog! I found it while browsing on Yahoo News.
Do you have any suggestions on how to get listed in Yahoo News? I’ve been trying for a while but I never seem to get there! Cheers
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা