বিতর্কের শেষ নেই কবীর সিং নিয়ে। তবুও এক মাস পরেও বক্স অফিসে ভালো চলছে শহিদ কাপুর অভিনীত এই ছবি। সমালোচক মহলে এই ছবিকে নারীবিদ্বেষী তকমাও দিয়েছে। যদিও ছবির পরিচালক এই নিতে নারাজ। পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গাএক সংবাদমাধ্য়মের কাছে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, প্রেমিকাকে চড় না মারা গেলে সে প্রেম মোটেই গভীর নয়। এই মন্তব্য যেন বিতর্ককে আরও উস্কে দেয়। কিন্তু ২০১৯-এ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিগুলির মধ্যে বক্স অফিসে সবচেয়ে ভালো ব্যবসা করেছে এই ছবিই। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন অভিনেত্রী তপসি পান্নু।
তপসি এই ছবিটি প্রসঙ্গে বলেন, কবীর সিং-ই একমাত্র ছবি নয় যেটি নারীবিদ্বেষের সুখ্যাতি করেছে। অন্য়ান্য অনেক ছবিই রয়েছে। কিন্তু সেগুলিতে এই মাত্রায় দেখানো হয়নি। আমি সেই জন্যই যে ছবিগুলি করি সেগুলিতে একটা বিরুদ্ধ মতামত থাকে। আমি জানি এইভাবে আমি হয়তো সংখ্যা অনেক বেশি ছবি করে ফেলতে পারব না। কিন্তু ,সেটা আমার কাছে বিষয় নয়। আমরা একটা পরিবর্তনের মধ্য়ে দিয়ে যাচ্ছি। আর আমি এখনই হাল ছেড়ে দেব না।
এছাড়াও তাপসি বলেন, ভুলে ভরা চরিত্রকে পর্দায় দেখানোটা সমস্যা নয়। সমস্যা হল তাদের সুখ্য়াতি করা নিয়ে। খারাপ কাজগুলিকেও নায়কোচিত ভাবে দেখালে সেটা সমস্যার। কবীর সিং-এ মূল চরিত্রটি যাই করে, সেটা মেনে নেওয়া হয় এবং তাকে উদযাপন করা হয়।
তাপসি তাঁর অভিনীত মনমরজিয়া ছবিটির কথাও বলেন। তাঁর কথায়, মনমরজিয়ার রুমি বাগ্গার চরিত্রটি ভুলে ভরা ছিল। তাই ও কিন্তু নিজের ভালোবাসাকে হারিয়েছিল ও ডিভোর্স হয়ে গিয়েছিল। আজ যারা কবীর সিং চরিত্রটিকে প্রশংসা করছে, তারাই রুমির চরিত্রটির নিন্দা করেছিল। আমরা আমাদের সমাজের এই দ্বিচারিতা সম্পর্কে যথেষ্টই ওয়াকিবহল।
প্রসঙ্গত, কবীর সিং চরিত্রটি তার প্রেমিকাকে পাওয়ার জন্য তার বাড়িতে গিয়ে ঝামেলা করে। মহিলাদের অবলীলায় যৌনতার প্রস্তাব দেয়। প্রেমিকার গায়ে হাত তুলতেও দুবার ভাবে না। অথচ প্রেমিকার মুখে রা নেই।
উল্লেখ্য, তাপসি এই মুহূর্তে মিশন মঙ্গল ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত। এই ছবিতে বিদ্যা বালন, কৃতী কুলহারি, সোনাক্ষী সিনহা ও অক্ষয় কুমার রয়েছেন।
NB:This post is copied from kalerkantho
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা