অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)-এর জিনোমিক রিসার্চ ল্যাবরেটরির কোভিড-১৯ জিনোম সিকোয়েন্সিং গবেষণায় এতথ্য বেরিয়ে এসেছে। দেশের ৮ বিভাগ থেকে সর্বমোট ২৬৩টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করে তারা। মে মাসের ৭ তারিখ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত এসব ডাটা সংগ্রহ করা হয়। জিনোম সিকোয়েন্সিং এর ভিত্তিতে পাওয়া ডাটা বিশ্লেষণ করে তৈরি গবেষণা প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণ রোববার প্রকাশ করা হয়।
এউদ্দেশ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গবেষণার ফলাফল প্রিন্ট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। কয়েকটি রিসার্চ পেপার ও শিগগিরই আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হবে।
বিসিএসআইআর’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আফতাব আলী শেখ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। তারা জানান, এই গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল ভাইরাসের সংক্রমণ, মিউটেশনের হার, জিনগত বৈচিত্র্য, নন-সিনোনিমাস মিউটেশন এবং জিনোমিক ফাইলোজেনি পর্যবেক্ষণ করা। গবেষণার ফলাফলকে কোভিড-১৯ মহামারি রোধে কার্যকর ভূমিকা পালনে ব্যবহার করা।
চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোভাক রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি, আমেরিকার প্রতিষ্ঠান মর্ডানা, দ্য ইউনির্ভাসিটি ও অক্সফোর্ডসহ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করা ৫০টি প্রতিষ্ঠানে এই প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে- বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
এর ফলে বাংলাদেশ কোভিড-১৯ উপযোগী ভ্যাকসিন উৎপাদনে সহায়তা করবে এবং বিসিএসআইআর তার অংশীদার হওয়ার গৌরব অর্জন করবে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৬৩টি সার্স কোভ ২ জিনোম বিশ্লেষণে ৭৩৭ পয়েন্টে মিউটেশন পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ৩৫৮ নন-সিনোনিমাস অ্যামিনো এসিড প্রতিস্থাপন ঘটায়। শতভাগ ক্ষেত্রে আধিপত্যকারী ভ্যারিয়েন্ট জি৬১৪ (স্পাইক প্রোটিনে ৬১৪তম অবস্থানে অ্যাসপাটি এসিডের পরিবর্তে গ্লাইসিন হওয়ার কারণ) এর উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ২৬৩টি সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের মিউটেশনের হার বার্ষিক ২৪ দশমিক ৬৪ নিউক্লিওটাইড। সারাবিশ্বে নমুনা প্রতি মিউটেশন হার ৭ দশমিক ২৩। যা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ১২ দশমিক ৬০ লক্ষ্য করা যায়। অর্থাৎ অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসটি অনেক দ্রুত গতিতে এর রূপ পরিবর্তন করছে। সংগৃহীত নমুনায় শতভাগ ক্ষেত্রে ৪টি মিউটেশনে পুনরাবৃত্তি লক্ষ্য করা গেছে।
আরও বলা হয়েছে, স্পাইক প্রোটিনের জিনে ১০৩টি নিউক্লিওটাইড নিউটেশনের মধ্যে ৫৩টি নন সিনোনিমাস এমোনিয়া বেশি প্রতিস্থাপন ঘটে, যার মধ্যে পাঁচটি স্বতন্ত্র। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের (সার্স-কোভ-২) সংক্রমণ, মিউটেশনের হার, জিনগত বৈশিষ্ট্য, নন-সিনোনিমাস মিউটেশন এবং জেনোমিক ফাইলোজেনি পর্যবেক্ষণ করে দেশে পাঁচ ধরনের স্বতন্ত্র করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। যা বিশ্বের আর কোথাও পাওয়া যায়নি।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা
