অনলাইন ডেস্ক
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ছুড়ে দেয়া বড় লক্ষ্যর জবাবে খেলতে নামা আফগানিস্তানকে ভালো শুরু পেতে দেননি শরিফুল ইসলাম। এই টাইগার পেসার নিজের প্রথম ওভারেই রহমানউল্লাহ গুরবাজকে এলবিডব্লিউ করেন। অবশ্য দ্বিতীয় উইকেটে রহমত শাহ ও ইব্রাহীম জাদরান ৭৮ রানের জুটি গড়ে শুরুর বিপর্যয় সামাল দেন। তাসকিন আহমেদ ব্যাক অব দ্য লেন্থ ডেলিভারিতে সুইংয়ে পরাস্ত করে ৩৩ রান করা রহমতকে বোল্ড করেন।
স্রোতের বিপরীতে আফগানদের একাই টেনে নিয়ে যান ওপেনার ইব্রাহীম জাদরান। মেহেদী হাসান মিরাজের করা বল লং অনে পাঠিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪র্থ হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ইব্রাহীম। ফিফটির পর আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন তিনি। তবে আফগান ওপেনারকে থ্রী ফিগার ছুঁতে দেননি হাসান মাহমুদ। মোস্তাফিজের বদলে এই ম্যাচে সুযোগ পাওয়া হাসানের অফ লেন্থের বল ইব্রাহীমের ব্যাটের কানায় লেগে মুশফিকের গ্লাভসে ধরা পড়ে।
ইব্রাহীম ফিরে গেলেও একপ্রান্ত ধরে খেলেন আফগান অধিনায়ক শহীদি। ৫৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। শহীদির সঙ্গে নাজিবউল্লাহ জাদরান চতুর্থ উইকেটে যোগ করেন ৬২ রান। নাজিবউল্লাহকে এক্রস দ্য লাইন ডেলিভারিতে বোল্ড করে বাংলাদেশকে ছন্দ এনে দেন মিরাজ। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা শহীদিকে অফ স্টাম্পের বাইরের সুইং ডেলিভারিতে থার্ড ম্যান অঞ্চলে হাসান মাহমুদের ক্যাচ বানান শরিফুল ইসলাম। আর তাতেই ম্যাচ বাংলাদেশের হাতের মুঠোয় চলে আসে। এরপর ১৩ রান করা গুলবাদিন নাইবকেও বোল্ড করেন শরিফুল। এরপর রশিদ খান ২০ রান করলেও আর কেউ দাঁড়াতে না পারলে আফগানিস্তানের ইনিংস থামে ২৪৫ রানে।
এর আগে, লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দুই ব্যাটার মেহেদী হাসান মিরাজ এবং নাজমুল হোসেন শান্তর জোড়া সেঞ্চুরিতে ৩৩৪ রানের বিশাল পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা