এখন থেকে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) এ কোভিড–১৯ শনাক্তকরণ পরীক্ষা করা যাবে।কোভিড–১৯ শনাক্তকরণ পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে সরকার।
রোববার (২৯ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, আইসিডিডিআরবিকে রোগ শনাক্তকরণ পরীক্ষার জন্য ১০০ কিট দেওয়া হচ্ছে।
রোগ শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ায় আইসিডিডিআরবিকে আগেই যুক্ত করা দরকার ছিল বলে মনে করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আইসিডিডিআরবির পরীক্ষার সক্ষমতা আছে। আমি জানি না, কেন এতদিন পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হয়নি।’ প্রবীণ এই ভাইরাস বিশেষজ্ঞ বলেন, এখন আইসিডিডিআরবির মতো অন্যরাও যেন সহজে নমুনা পায়, তার ব্যবস্থা করতে হবে।
জৈব নিরাপত্তা আছে এমন ল্যাবরেটরিতেই কোভিড–১৯ শনাক্তকরণ পরীক্ষা হতে হবে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা না থাকলে ল্যাবরেটরির কর্মীদের সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। সেই নিরাপত্তা আইসিডিডিআরবির ল্যাবরেটরিতে আছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ করছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। প্রতিষ্ঠানটি রাজধানীর মহাখালীতে। এর থেকে আধা কিলোমিটারের কম দূরত্বে আইসিডিডিআরবি।
প্রস্তুত থাকলেও আন্তর্জাতিক এই প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেয়নি সরকার। এক সপ্তাহ আগে শুধু প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মীদের নমুনা পরীক্ষার অনুমতি দেয় সরকার।
প্রতিষ্ঠানটির যোগাযোগ বিভাগ বলেছে, ‘কোভিড-১৯ পরীক্ষার পরিকল্পনায় আমাদের সম্পৃক্ত করায় আমরা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমরা এখন কাদের পরীক্ষা করব, কীভাবে নমুনা সংগ্রহ করা হবে, পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে কী করব, সেসব বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছি।’
পাকিস্তান আমলে কলেরা বিষয়ে কাজ করার জন্য আইসিডিডিআরবি এবং ম্যালেরিয়া নিয়ে কাজ করার জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল আইইডিসিআরের। তখন এদের ভিন্ন নাম ছিল।
Like & Share our Facebook Page: Facebook
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা