অনলাইন ডেস্ক
সরজমিনে দেখা যায়, গত সপ্তাহের চেয়ে প্রায় প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে অন্তত ১৫ থেকে ২০ টাকা করে। বাজারে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা দরে। ফুলকপি প্রতি পিস ৮০ থেকে ১০০ টাকা। কাঁকরোল ১০০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, মূলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, পটল ১০০ টাকা, শশা ৬০ টাকা, দেশি টমেটো ১৬০ টাকা কেজি। আর ভারতীয় আমদানি করা টমেটো ২০০ টাকা, গাজর ১০০ থেকে ১৬০ টাকা, মূলা ৬০ টাকা৷ ঢেরশ ৮০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা আর লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা দরে।
বাজার করতে এসে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা শামস বার্তা২৪.কমকে বলেন, সরকারের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত ক্রেতাদের গলা কেটে পয়সা কামাচ্ছে। সরকারের আরও কঠোর ভূমিকা নেয়ারও দাবি জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে আজকে সব সবজির দাম অনেক বেশি। সত্যি কথা বলতে সাপ্লাই চেইন ঠিক নাই। সিন্ডিকেটকে সরকার ভাঙতে পারবে, কিন্তু ভাঙবে না।
এদিকে এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে আলুর দাম। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি। আর পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা, রসুন ২০০ টাকা, আদা ২৮০ টাকা।
তবে গরুর মাংস ছিল আগের দামে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৮০ টাকা আর ছাগলের মাংস ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে মাছের দামও ছিল বাড়তি, আকাশছোঁয়া দাম। প্রতি কেজি কৈ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি, প্রকারভেদে পাঙ্গাশ ১৮০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বড় রুই মাছ ৩৮০ টাকা আর ছোট রুই মাছ ৩২০ টাকা করে। শরপুটি মাছ ২২০ টাকা, বাইম মাছ ৫০০ টাকা, পাঁচ মিশালি মাছ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, কাঁচকি মাছ ৫০০ টাকা, ইলিশ ১৪০০ থেকে ২০০০ হাজার, রিঠা মাছ প্রকারভেদে ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা। চিংড়ি মাছ ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, তবে দেশি চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ২০০০ টাকা দরে।
এদিকে মিরপুরের সবজি ব্যবসায়ী হালিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, টানা বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে বাজারে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বাজারে পণ্যের সরবরাহ কম থাকায় দাম কিছুটা বেশি। বৃষ্টি চলতে থাকলে দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা করেন এই ব্যবসায়ী।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা