নড়াইলের কালিয়ার এনামুল হত্যা মামলার প্রধান আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন না করে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় হাইকোর্টের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন নড়াইলের জেলা ও দায়রা জজ শেখ আব্দুল আহাদ।
ওই হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে মামলার অভিযোগ গঠন থেকে বাদ দেওয়ায় ওই বিচারকের বিচারিক ক্ষমতা কেন প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে না এই মর্মে কারণ দর্শাতে বলা হয়।
এরপরই আজ বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে লিখিতভাবে নিঃশর্ত ক্ষমা চান ওই বিচারক। আদালতে বিচারকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন রবিউল আলম বুদু। আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন আবদুল আলীম।
এদিকে ওই মামলার প্রধান আসামি মল্লিক মাঝহারুল ইসলামের জামিন কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আগামী ২০ আগস্ট রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা ও দায়রা জজ শেখ আব্দুল আহাদের বিচারিক ক্ষমতা কেন প্রত্যাহার করা হবে না, তা জানতে চেয়ে জারি করা রুলের ওপরও শুনানি হবে।
এর আগে হাইকোর্ট মামলার বাদী নিহতের ভাই নাজমুল হুদার করা আবেদনে গত ৭ জুলাই এক আদেশে মামলার প্রধান আসামি মল্লিক মাঝহারুল ইসলামকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে জেলা ও দায়রা জজ শেখ আব্দুল আহাদের বিচারিক ক্ষমতা কেন প্রত্যাহার করা হবে না সে বিষয়ে বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা জানতে চান। এই আদেশের পর সংশ্লিষ্ট আসামি নড়াইল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাকে জামিন দেন। নড়াইল আদালতের দেওয়া এই জামিন কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এদিকে গত ৭ জুলাইয়ের আদেশের পর সংশ্লিষ্ট বিচারক শেখ আব্দুল আহাদ লিখিতভাবে হাইকোর্টকে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, উভয়পক্ষের শুনানি ও নথি পর্যালোচনা করে আদেশ দেওয়া হয়। উক্ত আদেশটি সঠিকভাবে প্রচারিত হয়নি এবং তা আইন সংগতও নয় এবং আইনিনীতির সুস্পষ্ট লংঘন মর্মে মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগ সদয় হয়ে আদেশ দিয়েছেন। উক্ত ভুলের জন্য নিঃশর্তভাবে ক্ষমা প্রার্থী। ভবিষ্যতে এরূপ ভুল না করার জন্য সতর্ক থাকবো।
NB:This post is copied from bd-pratidin.com
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা