অনলাইন ডেস্ক
দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটে বর্ণবাদ এখনো আছে কিনা সে বিষয়ে সম্প্রতি তদন্ত করেছে ‘এসজেএন কমিশন’। তাদের ২৩৫ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে গ্রায়েম স্মিথ, মার্ক বাউচার ও এবি ডি ভিলিয়ার্স তাদের ক্যারিয়ারের কখনো না কখনো বর্ণাবাদ করেছেন। সেটা তাদের আচরণে ও দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রকাশ পেয়েছে।
এমন প্রতিবেদনের পর নড়েচড়ে বসেছে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা। তারা এসজিএন প্রতিবেদনের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করবে। তদন্তে যদি সত্যতা মিলে তাহলে ব্যবস্থা নিবে। তবে তার আগ পর্যন্ত সপদে বহাল থাকবেন স্মিথ ও বাউচার।
এ বিষয়ে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা আজ সোমবার এক বার্তায় জানিয়েছে, ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার বোর্ড যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানিক তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বোর্ড সব সময় বর্ণবাদ ও বৈষম্যের অভিযোগের বিষয়ে সিরিয়াস। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সে বিষয়ে নিরপেক্ষ ও স্বাধীন আইন বিশেষজ্ঞদের দিয়ে তদন্ত করা হবে। সেই তদন্তের ফল নির্ধারিত সময়ে জানানো হবে। ততোদিন পর্যন্ত গ্রায়েম স্মিথ ও মার্ক বাউচার তাদের দায়িত্ব পালন করে যাবেন।’
জানা গেছে ভারতের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষ হলেই প্রাতিষ্ঠানিক তদন্তের কাজ শুরু করবে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা।
এসজিএ এর তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১২ সালে গ্রায়েম স্মিথ কৃষ্ণাঙ্গ হওয়ায় উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান থামি সোলেকিলসকে খেলাননি। এমনকি মার্ক বাউচার অবসর নেওয়ার পরও তাকে বিবেচনা করেননি তিনি।
ডি ভিলিয়ার্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ২০১৫ সালে ভারত সফরে মিডল অর্ডারের মারকুটে ব্যাটসম্যান খায়া জন্ডোকে খেলাননি। ওই সফরে জেপি ডুমিনি ইনজুরিতে পড়লেও জন্ডোকে সুযোগ দেননি। এমনকি কৃষ্ণাঙ্গ হওয়ায় জন্ডোকে না নিয়ে দলে না থাকা ডিন এলগারকে খেলান ডি ভিলিয়ার্স।
অন্যদিকে মার্ক বাউচার ও স্মিথরা তাদের সময়ে সতীর্থ স্পিনার পল অ্যাডামসকে গায়ের রঙ কালো হওয়ায় ‘ব্রাউন শিট’ নামে ডাকতেন। অবশ্য বাউচার, স্মিথ ও ডি ভিলিয়ার্স তাদের বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এখন দেখার বিষয় প্রতিষ্ঠানিক তদন্তে কি বেরিয়ে আসে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা