অনলাইন ডেস্ক
হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধ করে গ্রেফতারকৃত নেতাদের মুক্তি দিতে ও মাদরাসাগুলো খুলে দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন হেফাজতের নেতারা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বাসায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে তারা এ অনুরোধ জানান।
মঙ্গলবার (৪ মে) রাতে হেফাজতের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল তৃতীয়বারের মতো ধানমন্ডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় গিয়ে বৈঠক করেন।মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মন্ত্রীর বাসা থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হেফাজত নেতা নূরুল ইসলাম জিহাদী এসব কথা জানান। এ সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানও ওই বাসায় ছিলেন।
বৈঠকের বিষয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘হেফাজত নেতারা যেসব কাজ করেছেন তার কিছু কাজ ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন। বলেছেন, অনুপ্রবেশকারীরা এসব জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুর করেছে। পরে, তাদের নেতাকর্মীদের ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেছেন।’
রাত ৯টা ২০ মিনিটে হেফাজত নেতারা বাসায় ঢোকার পর রাত পৌনে ১২টার দিকে বের হন। পরে হেফাজত নেতারা জানান, তারা স্বরাষ্টমন্ত্রীর কাছে নেতাদের মুক্তি ও কাওমি মাদরাসা খুলে দেওয়াসহ চারটি আবেদন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘হেফাজতের গত আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে গ্রেফতারকৃত আলেম-ওলামা ও ধর্মপ্রাণ সাধারণ মুসলিমদের দেশব্যাপী গ্রেফতার অভিযান এখনও অব্যাহত রয়েছে। ফলে পবিত্র রমজান মাসে ইবাদত-বন্দেগি করতে না পেরে অজানা আতঙ্কে দিন পার করছেন আলেম-ওলামা ও সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষ।আমরা আজকের বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছি, গ্রেফতার-আতঙ্ক ও হয়রানি থেকে তাদের মুক্তি দেয়া হোক। বিশেষ করে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণগ্রেফতার চলছে। এতে করে সাধারণ মানুষ আতঙ্কে বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পবিত্র রমজান মাসে আলেম-ওলামা ও সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষের হয়রানি বন্ধ করতে উনার কাছে বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছি।’
এছাড়া ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের নামে যেসব মামলা হয়েছিল, পূর্ব আলোচনা অনুযায়ী সে মামলাগুলোও প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানান তারা।
প্রসঙ্গত, এরআগে সংগঠনটির তৎকালীন যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে গ্রেফতারের পরদিন ১৯ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসায় বৈঠক করেন। এরপর ২৬ এপ্রিল কমিটি ভেঙে আহ্বায়ক কমিটির ঘোষণা দেয় হেফাজত। গত রোববার রাতে ইসলামী ঐক্যজোটের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনীর নেতৃত্বে হেফাজতের আরেকটি অংশের চার নেতা মন্ত্রীর বাসায় গিয়ে বৈঠক করেন।