অনলাইন ডেস্ক
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের এই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য আইন প্রণয়ন করা সম্ভব হবে না। তাই সার্চ কমিটির মাধ্যমেই নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করা হবে।
রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচন কমিশন সার্চ কমিটির মাধ্যমেই হবে। সার্চ কমিটিও আইনের কাছাকাছি। এবার এই সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। এর পর আইনে যাওয়া হবে। কারণ ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আইন করা সম্ভব নয়।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী তার সংবাদ সম্মেলনে পরিষ্কার করে বলেছেন- সার্চ কমিটির মাধ্যমে নতুন ইসি গঠন করা হবে। যখন সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছিল, তখন রাষ্ট্রপতি সব রাজনৈতিক দলের অভিমত নিয়েছিলেন। সবাই রাজি হওয়ার পরই সার্চ কমিটির গেজেট হয়। যদিও সার্চ কমিটির গেজেট আইন নয়, কিন্তু এটা যেহেতু সবার কনসেন্স নিয়ে করা হয় ও রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তে হয়েছিল, তাই সেটা আইনের কাছাকাছি। আমি এখনো বলছি এটা আইন নয়, আইনের কাছাকাছি।
এর আগে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিচারণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি করতেন, নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি সরকারের হাতে নেই উল্লেখ করে বলে আনিসুল হক বলেন, তার মামলা আদালতে বিচারাধীন। মামলায় যদি জয়ী হন, তা হলে তার স্থায়ী মুক্তি হবে।
উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগে অচিরেই আইন করা হবে বলেও জানান আইনমন্ত্রী।
বিচার বিভাগ পৃথককরণসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, নির্বাহী বিভাগের প্রভাব থেকে বিচার বিভাগ অনেকটাই মুক্ত।