ব্যবসায়ী আতাউর রহমান সাত লাখ টাকায় দুই বছরের জন্য আম বাগান ইজারা নিয়েছেন। তিনি যে বাগানটি ইজারা নিয়েছেন সেখানে আছে পাখির বাসা। এই বাসার কারণে গতবছর তার আম নষ্ট হয়েছে। তাই এবার তিনি আর পাখির বাসা রাখতে চাননা।
তিনি পাখির বাসাগুলো ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নেন। এসময় কিছু পাখিপ্রেমি প্রতিবাদ জানায়। বিষয়টি নিয়ে একটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপ্রেক্ষিতে আদালত স্ব প্রণোদিত হয়ে রায় দিয়েছেন। আতাউর রহমান নামের সেই ব্যবসায়ী বলেছেন, সাত লাখ টাকা দিয়ে তিনি বাগানটি দুই বছরের জন্য ইজারা নিয়েছেন। গত বছর পাখি থাকার কারণে তাঁর আম নষ্ট হয়েছে। এবার আর তিনি তা হতে দেবেন না। এবার আগ থেকেই তিনি পরিচর্যা শুরু করতে চান।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় খোর্দ্দ গ্রামে আমবাগানে পাখির বাসা ধ্বংস না করার জন্য আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে আম বাগানের ওই এলাকাকে কেন পাখির জন্য অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হবে না রুল জারি করে তা-ও জানতে চেয়েছেন উচ্চ আদালত। স্থানীয় প্রশাসনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ এ আদেশ দেন। ওই আমবাগানকে পাখির অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হলে বাগান মালিক ও ইজারা গ্রহণকারীর আর্থিক ক্ষতির দিকটি নিরূপণ করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আদালত রাজশাহীর জেলা প্রশাসক ও বাঘার ইউএনও কেও নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ৪০ দিনের মধ্যে তদের এই প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এই পাখিদের রক্ষায় সংবাদপত্রের প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে এনে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনার আরজি জানান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী প্রজ্ঞা পারুমিতা রায়।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার খোর্দ্দ বাউসা গ্রামে হুমকির মুখে পড়েছে কয়েক হাজার শামুকখোল পাখি। এখানকার একটি আমবাগানে ২৫টি গাছে কয়েক হাজার পাখির বাসা। সব বাসাতেই আছে ছানা। এগুলো এখনো উড়তে শেখেনি।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা