অনলাইন ডেস্ক
স্থানীয়রা জানান, ঘনবসতিপূর্ণ মহজমপুর এলাকার প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার মানুষের উপজেলা সদরে যাওয়ার একমাত্র সড়ক এটি। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ভ্যান, রিকশা, সিএনজি, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। যখন সড়কটি কাঁচা ছিল তখন খুঁটির স্থানে সেলিম উদ্দিনের উঠানের দিকে ছিল, ফলে খুঁটি সড়কের পাশে ছিল না। কিন্তু এক বছর আগে ইটের সলিং দিয়ে রাস্তা করার সময় জমি মাপতে গিয়ে খুঁটিটি রাস্তার একেবারে মাঝ বরাবর পড়ে। এলাকাবাসী তখন খুঁটিটি স্থানান্তর করতে বললেও কাজ হয়নি। কিন্তু ওই খুঁটিটি এখন চলাচলকারীদের বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মহজমপুর গ্রামের বাসিন্দা ময়েন উদ্দিন বলেন, রাতের অন্ধকারে তিনি ওই সড়ক দিয়ে সাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পড়ে আহত হয়েছেন। তার মতো গ্রামের অনেকেই এ রকম ঘটনার আহত হয়েছেন। এ ছাড়া যে কোনো সয়ম বড় দুঘর্টনা ঘটতে পারে।
ফাগুয়াড়দিয়াড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম লেলিন বলেন, মাঝে খুঁটি রেখে সড়কের কাজ করার সময় তিনি নিজেও বাধা দিয়েছিলেন। কিন্তু কাজ হয়নি। পরে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে আবেদন করেও কাজ হয়নি।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর বাগাতিপাড়া সাব-জোনাল অফিস সূত্রে জানা যায়, যখন ওই স্থানে বিদ্যুতের খুঁটিটি বসানো হয় তখন সেখানে সড়ক ছিল না। পরে সড়কটি করা হয়। এখন নিয়ম অনুযায়ী যে দপ্তর সড়কটি করেছে তারা বিদ্যুৎ বিভাগে খুঁটি স্থানান্তরের নির্ধারিত ফি জমা করলেই সেটি সরানো হবে।
এ বিষয়ে স্থানীয় নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) সভাপতি আরিফুল ইসলাম তপু জানান, মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ঘটাতেই কাজটি করা হয়েছে। অনেক আগেই এ নিয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। দ্রুত খুঁটি স্থানান্তর না করা হলে স্থানীয়দের নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দেওয়া হবে।
বাগাতিপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সাব-জোনাল অফিসের এজিএম মঞ্জুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা স্থানান্তরের ফি পরিশোধ করলেই খুঁটিটি সরানো হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুনিমুল হক বলেন, আমি এই উপজেলায় যোগদানের আগে সড়কের কাজটি করা হয়েছে। কয়েকদিন আগে উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএমের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। ফি পরিশোধ করলে খুঁটিটি সরানো হবে বলে তিনি জানান।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা