অনলাইন ডেস্ক
এলাকাবাসী বলছেন, ৫ই আগস্টের পর আর কাউকেই দেখা যায়নি এসব বাড়িতে। ভয় না কাটলেও অনেকটা স্বস্তি¡র সাথেই এখন বসবাস করতে পারছে আশেপাশের মানুষ।
চা বিক্রেতা খলিলের মা কখনো স্বপ্নেও ভাবেনি এরকম জায়গায় দোকান দিয়ে একদিন চা বিক্রি করতে পারবে। চারমাস আগেও গুলাশানের ৮৪ নাম্বার রোডের শেখ রেহানার নামে বারাদ্দ ১০ নম্বর এই বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে পার হতে পথচারীদের নানা রকম প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হতো। অথচ দু মাস ধরে সেই বাড়ির গেটের সামনে চলছে চায়ের দোকানে জমজমাট আড্ডা।
প্রায় দেড় বিঘার উপর তৈরি এই বাড়ির সামনে এখন ঝুলছে তালা। ভিতরে নিশ্চুপ নীরবতা আর কয়েক স্তরের ঝরা পাতার আস্তর দেখে বোঝা যায়, দীর্ঘদিন জনশূন্য এই বাড়ি। আগে প্রায়ই আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতার দামি গাড়ি ভিড় করতো সড়কগুলো। এখন বাড়িটি সেনাবাহিনীর সম্পত্তি।
ধানমন্ডি পাঁচের লেকপাড়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ওয়াজেদ মিয়ার সুধাসদন বাড়িটিও এখন যেন ভুতুড়ে বাড়ি। এই বাড়িতে অবশ্য দীর্ঘ দিন কেউ না থাকলেও ক্ষমতা দেখিয়ে নিরাপত্তার কারণে বাড়ির সামনে দিয়ে সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত রাখা হয়েছিলো। আগস্টের গনঅভ্যুত্থানের পর বাড়িটিও ভেঙ্গে ফেলে বিক্ষুদ্ধ জনতা।
টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকায় দুর্দন্ড ক্ষমতার বলয় গড়ে তুলেছিলো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই শেখ সেলিম। বনানীর এই চারতলা বাড়িটিতে থাকতেন তিনি। ৫ আগস্টের আগে ক্ষমতার স্বাদ নিতে সবসময়ই দলীয় নেতাকর্মীসহ অনুগতদের ভিড় লেগে থাকতো এখানে। বাড়ির সামনে নেতাদের গাড়ির জন্য সবসময়ই যানজট লেগেই থাকতো। সাধারণ মানুষের চলাচল করতে যেমন কষ্ট হতো তেমনি আশেপাশের মানুষদেরও বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হতো। কিন্তু ৫আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর বদলে গেছে বাড়ির চিত্রপট। চারতলা বাড়িটি এখন শুধুই ধ্বংসস্তুপ।
বনানীর লেকপাড়ে শেখ পরিবারের আরেক সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপসের পাঁচতলা এই বাড়িটির সামনের চিত্র এখন এমন। এখানেও দলীয় নেতাকর্মীদের এখন আর নেই কোন আনাগোনা । নেই গাড়ির বহর। শুধুই সুনশান নীরবতা। বাড়িটি এখন দেখাশোনা করছে নিরাপত্তাকর্মীরা।
শুধু শেখ পরিবারের সদস্যদের বাড়িই নয়, আওয়ামী লীগের ক্ষিমতাধর নেতাদের বাড়ির চিত্র এখন এ রকম। ক্ষমতা ব্যবহার করে দুর্নীতির পাহাড় গড়ে যারা রাজপ্রাসাদ তৈরি করেছিলো তাদের সেই রাজপ্রাসাদ আজ ধ্বংসস্তুপ। গুলশানের ৭১ নম্বর রোডের এক নম্বরের বাড়িটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের। ৫ আগস্টের পর যা বিক্ষুদ্ধ জনতার হামলায় ধ্বংসস্তুপে পরিনত হয়েছে। বাড়ির ভিতরে জনমানুষের কোন চিহ্ন না থাকলেও বাইরে আনসার বাহিনীর সদস্যরা পাহারা দিচ্ছে। আওয়ামী সরকারের পতনের পর কোন নেতাকর্মীও এখানে আসে না বলে জানান নিরাপত্তাকর্মীরা।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা