একটু উষ্ণতার জন্য সাপ ও কচ্ছপের সন্ধি
শেখ মোঃ শিমুল
শীতের একটু উষ্ণতা পেতে এ যেন সাপ ও কচ্ছপের সন্ধি করা। শীতের খেয়ালিপনায় প্রভাব পড়েছে এ প্রাণীদের উপর। কখনও শীত কখনও গরম দিশেহারা সাপ। তাই শীতের দুপুরে রোদে কিছুটা সময় উষ্ণতা পেতে পুকুরে পড়ে থাকা ডাবগাছের শোকনো ঠালের উপর দুটি সাপ একসঙ্গে জড়ো হয়ে রোদ উপভোগ করে। এসময় উষ্ণতার একটু ভাগ নিতে পাশে যেন সন্ধিতে কচ্ছপ। দু’পক্ষ মুখোমুখি তাকিয়ে।
সুন্দর এই দৃশ্যটি মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের পাশের পুকুরের। তবে মজার বিষয় কারোর মধ্যই নেই কোন হিংস্রতা। এযেন বুঝাপড়া। একে অপরের কষ্টকে চলমান আপোষ। সাপকে বলা হয় শীতল রক্তের প্রাণী। পরিবেশের তাপমাত্রার সঙ্গে এদের শরীরের তাপমাত্রা ওঠানামা করে। তাই সাপেরা বেশি ঠাণ্ডা বা বেশি গরম কোনটাই সহ্য করতে পারে না। আর কচ্ছপও বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তার নিজের শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা পরিবর্তন করতে পারে। সাধারণত এ ধরনের প্রাণীদের ঠান্ডা-রক্তের প্রাণী বলে অভিহিত করা হয়। আর ঠান্ডা পড়া মানেই সাপেদের শীতঘুমের সময় চলে আসে। শীতে প্রয়োজনীয় ঠাণ্ডা না পড়াই সাপেদের শীতঘুমের জন্য দায়ী। শীতকালে গর্তে, ফাটলে, কোটরে বা কোনও কিছুর মধ্যে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় কাটায় তারা। সাপ এই সময় কোনও খাবারও খায় না। এর কারণ হিসেবে, সাপের খাদ্য পরিপাককারী উৎসেচকগুলি এই বিশ্রামের সময় কাজ করে না।
শীতকালে এদের শরীরের মেটাবলিক রেটও কমে যায়। এরা শরীরে জমে থাকা চর্বি থেকে ন্যূনতম শক্তির যোগান পায়। তাই শীতের শেষের দিকে এরা রুগ্ন ও দুর্বল হয়ে পড়ে। খুব বেশি শীত পড়লে বা দীর্ঘস্থায়ী শীত হলে অনেক সাপ গর্তের মধ্যেই মারা যায়। আবার কখনও কখনও এরা গর্ত থেকে বেরিয়ে এসে রোদ থেকে খানিকটা তাপ নেয় বেঁচে থাকার তাগিদে। অপর দিকে, কচ্ছপ পৃথিবীতে এখনও প্রাচীন প্রাণীদের মধ্যে অন্যতম। একধরনের সরীসৃপ যারা পানি এবং ডাঙা দুই জায়গাতেই বাস করে। এদের মধ্যে কিছু প্রজাতি বিলুপ্তির পথে রয়েছে। কচ্ছপের অনেক প্রজাতি রয়েছে যারা পানিতে বা পানির আশে-পাশে বাস করলেও এরা ডাঙায় ডিম ছাড়ে। তবে এ ধরনের দৃশ্য সচরাচর দেখা বড়ইভার।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা