অনলাইন ডেস্ক
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের শুরুতেই মহা বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ। দ্রুত ফিরে গিয়েছিলেন সেরা চার ব্যাটসম্যান। একপ্রান্ত আগলে রেখে দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান লিটন দাস। করেন সেঞ্চুরি। আর ‘বিপদের সঙ্গী’ হিসেবে খ্যাত মাহমুদউল্লাহও দারুণ ভূমিকা রাখেন। শেষদিকে মারকাটারি ব্যাটিংয়ে দলের স্কোর মজবুত করেন আফিফ হোসেন। শেষে দ্রুত কিছু উইকেট পড়ায় নির্ধারিত ৫০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ২৭৬ রান।
আজ শুক্রবার হারারে স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় জিম্বাবুয়ে। স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ হওয়ার আগেই ফিরে যান তামিম ইকবাল। ৭ বল খেলে তিনি মুজরাবানির বলে ‘ডাক’ মারেন। অপর ওপেনার লিটন দাস একপ্রান্ত আগলে রাখার কাজটি করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সঙ্গী হিসেবে কাউকে পাননি। অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান ২৫ বলে ১৯ রান করে মুজরাবানির শিকার হন। বিতর্ক উস্কে একাদশে সুযোগ পাওয়া মোহাম্মদ মিঠুনও ১৯ রান করে চাতারার শিকার হন।
নিজেকে প্রমাণ করার আরেকটা সুযোগ ছিল মোসাদ্দেক হোসেনের সামনে। এই তরুণ মাত্র ৫ বলে নাগারভার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন। ৭৪ রানে পতন হয় ৪ উইকেটের। লিটন দাসের সঙ্গী হন মাহমুদউল্লাহ। দুজনে মিলে এগিয়ে নিতে থাকেন দলের স্কোর। শ্রীলঙ্কা সিরিজে বাদ পড়া লিটন দলে ফিরেই দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৭৪ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন। ৮ ইনিংস পর তার ব্যাটে পঞ্চাশোর্ধ রান এলো। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৯৩ রান আসতেই ছন্দপতন।
৫২ বলে এক ছক্কায় ৩৩ রানে লুক জঙ্গুয়ের স্লোয়ার বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন মাহমুদউল্লাহ। সেঞ্চুরির কাছে থাকা লিটনের সঙ্গী হন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ইনিংসের ৪০তম ওভারে মাধভেরের বলে ১ রান নিয়ে তিন অঙ্ক ছুঁয়ে ফেলেন লিটন। এটা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি; জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা দ্বিতীয়। ২০২০ সালের ৬ মার্চ সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ তিনি পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস (১৭৬) খেলেছিলেন। আজ প্রচণ্ড চাপের মাঝে তিনি ১১০ বলে ৮ বাউন্ডারিতে সেঞ্চুরি পূরণ করেন।
এর পরপরই অবশ্য লিটন আউট হয়ে যান ১১৪ বলে ১০২ রানে। নাগারাভাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন বদলি ফিল্ডার ওয়েলিংটন মাসাকাদজার হাতে। ততক্ষণে বাংলাদেশের ইনিং দাঁড়িয়ে গেছে। উইকেটে আসেন মেহেদি মিরাজ। দুই তরুণের ব্যাটে ঘুরছিল রানের চাকা। শুরু থেকেই আফিফ ছিলেন মারমুখী মেজাজে। ৭ নম্বরের দাবিটা তিনি ভালোই পূরণ করছিলেন। দ্রুতই জুটি পঞ্চাশ অতিক্রম করে। এরপরেই অবশ্য মিরাজ ২৫ বলে ২৬ রানে আউট হয়ে যান।
মনে হচ্ছিল আফিফ তার ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিটা পেয়েই যাবেন। হাতে বলও ছিল। কিন্তু ৩৫ বলে ১ চার ২ ছক্কায় আফিফের ৪৫ রানের ইনিংসটি শেষ হয় লুক জঙ্গুয়ের বলে স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে। পরপর দুই উইকেট পান জঙ্গুই। এরপর দ্রুত উইকেট পড়তে থাকে। জঙ্গুইয়ের ওভারের শেষ বলে রান-আউট হয়ে যান তাসকিন আহমেদ। অবশেষে নির্ধারিত ৫০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ২৭৬ রান।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা