রাষ্ট্রের তিন অঙ্গকে ভারসাম্য বজায় রেখে নিজ দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
তিনি বলেন, ‘আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগ পৃথকভাবে দায়িত্বপালন করলেও তারা পরস্পর সস্পর্কযুক্ত। কেউ কারও প্রতিপক্ষ নন বরং পরস্পর সম্পূরক। তাই আপনাদের পারস্পরিক ভারসাম্য বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
শনিবার বঙ্গভবন দরবার হলে প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি ও জেলা আদালতের বিচারকদের সাথে নৈশভোজে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
তিনি বিচার বিভাগ থেকে জনপ্রত্যাশা পূরণে বার ও বেঞ্চকে সমন্বিতভাবে কাজ করারও আহ্বান জানান। সেই সাথে আদালতে অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের সচেতন থাকার তাগিদ দেন। তিনি বিজ্ঞ আইনজীবীদের তাদের পেশার ঐতিহ্য ও সম্মান সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ- ভারত সীমান্ত পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা
গণতন্ত্রের বিকাশ, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার রক্ষায় বিচার বিভাগের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় বিচার বিভাগ আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে কাণ্ডারির ভূমিকা পালন করে থাকে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতার হত্যার বিচার, জেলহত্যা বিচার, ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসহ চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার দ্রুত বিচারের ফলে জনমনে বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা বেড়েছে। ‘বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে’- এ ধরনের প্রবাদ আজ কিছুটা হলেও ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
বিচার বিভাগকে সংবিধান ও আইনের রক্ষক হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা নিজ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতামত দেয়ার এখতিয়ার রাখেন। সংবিধান কিংবা আইনের কোনো ধারা সম্পর্কে প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্ট ব্যাখ্যা দিয়ে থাকে। তাছাড়া নাগরিকগণের মৌলিক অধিকার সমুন্নত রাখতে কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিতভাবে কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা চাইতে পারে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
Like & Share our Facebook Page: Facebook
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা