অনলাইন ডেস্ক
তিনি বলেন, আমদানি পণ্যের উপর নির্ভরতা কমাতে হবে এবং আমাদের সকলেরই এ চেষ্টা করা উচিত।’
প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা রোববার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় একাদশ জাতীয় সংসদের ২০তম অধিবেশনে তার সমাপনী ভাষণে এ আহ্বান জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ সময় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের খাদ্য উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে। নিজেদের উৎপাদনটাকে ধরে রাখতে হবে। আর আমদানিকৃত পণ্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। সেই চেষ্টাই আমাদের করতে হবে। সাথে সাথে রফতানি বাড়াতে হবে এবং যেজন্য তার সরকার বিভিন্ন দেশে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব মন্দার মধ্যেও তার সরকার অর্থনীতিটাকে ধরে রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং এ জন্য সকলকে কৃচ্ছতা সাধন করতে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ও পানির ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ারও আহ্বানও জানান তিনি।
তিনি প্রতিটি পরিবারকে এ বিষয়ে সচেতন হবার আহবান জানান। কেননা ইউরোপের অনেক উন্নত দেশে রেশনিং চলছে এবং এই শীতে বিদ্যুৎ ব্যবহার সীমিত রাখতে তারা নতুন পরিকল্পনা করছে। কাজেই আমাদের সাশ্রয়ী হতে হবে এবং আগে থেকেই যে কোন অবস্থার জন্য তৈরি থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের এই মুহূর্তে যে জিনিসটার খুব বেশি প্রয়োজন নেই সেই বিলাস দ্রব্য আমদানি আমাদের কমাতে হবে। আর এর ওপর আমাদের ট্যাক্সও বসাতে হবে বেশি করে।
বিদেশি ঋণ প্রসঙ্গে বিরোধী দলের উপনেতার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, আমাদের মোট সরকারি ঋণ জিডিপির ৩৬ শতাংশ। আর বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ জিডিপির ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর অন্তত এতটুকু বলতে পারি আমরা কোন দিনও ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হইনি। আমরা নিয়মিত ঋণ পরিশোধ করে যাচ্ছি। আমরা ঋণ খেলাপি (লোন ডিফল্টার) হইনি কখনো। আর ভবিষ্যতেও ইনশাল্লাহ হব না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী বিপর্যস্ত অর্থব্যবস্থা থেকে বাংলাদেশ আলাদা নয়। বাংলাদেশকেও তার ফল ভোগ করতে হচ্ছে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মূল্যস্ফীতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। মুদ্রার বিপরীতে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি এই সংকটকে আরও ঘনীভূত করেছে। কারণ প্রতিনিয়ত ডলারের দাম বেড়ে যাচ্ছে। কাজেই আমাদেও মত তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলো যাদের খাদ্য পণ্য, জ্বালানি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে হচ্ছে তারাও সংকটে পড়েছে। এরপরেও আমি বলবো আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
দেশের মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করে তাদের চাহিদা সরকার পূরণের চেষ্টা করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারপরেও চাপ রয়েছে কেননা পণ্য উৎপাদনেও ভতুর্কির পরিমাণ অস্বাভাবিক রকম বেড়ে গেছে।
তার সরকার করোনার মধ্যে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট দিতে সক্ষম হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাথাপিছু আয় হয়েছে ২ হাজার ৮শ ২৪ মার্কিন ডলার যেটা বিএনপি আমলে (২০০৫-০৬) অর্থবছরে ছিল ৫৪৩ মার্কিন ডলার। পাশাপাশি বাজেটে উন্নয়ন খাতে সরকার ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করতে সক্ষম হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বাজেটের খাত ওয়ারি বরাদ্দের পরিমাণ বিশ্ব মূল্যস্ফীতির কারণে বেড়ে গেছে উল্লেখ করে বেশ কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা