অনলাইন ডেস্ক
প্রথমে তাকে সাইনবোর্ড প্রো-একটিভ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর নেওয়া হয় নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার সকালে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা গ্রীনলাইন পরিবহনের ডাবল ডেকার বাস সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে এলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে একটি টিম বাসটি থামায়। এ সময় টিমের সদসরা নুরুল কবিরকে বাস থেকে নামিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গাড়িতে তুলে হাত বেঁধে ফেলে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কর্মকর্তারা মারধর করে বলে অভিযোগ রয়েছে। মারধরের এক পর্যায়ে নুরুল কবির অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রথমে প্রো অ্যাকটিভ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, পরে খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসে।
খবর পেয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে গেলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা মরদেহ হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। সংবাদকর্মীরা তিন ঘণ্টা হাসপাতালে অপেক্ষা করলেও নানা অজুহাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কেউ আসেনি। এদিকে, হাসপাতালের চিকিৎসক উত্তম কুমার সাহা জানান, হাসপাতালে নেয়ার আগেই নুরুল কবির মারা গেছেন।
পরে সাংবাদিকরা লিংক রোডের ফতুল্লা স্টেডিয়ামের পাশে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অফিসে গেলেও নানা টালবাহানা করেন তারা। এক পর্যায়ে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক জয়নাল আবেদীন মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে নুরুল কবিরের স্ত্রীকে আটকের বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা