প্রারম্ভিক শৈশবকাল শিশুর জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। একটি শিশুর সারাজীবনের বিকাশ ও শিক্ষার ভিত রচিত হয় এই সময়ে। শিশুদের জীবনের প্রারম্ভিক সময়কালে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সুবিধা, পুষ্টি, যত্ন, নিরাপত্তা ও প্রারম্ভিক শিখনের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া আমাদের সকলের দায়িত্ব। মেধাসম্পন্ন জাতি গঠনের লক্ষে গর্ভাবস্থা থেকে মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করতে সরকার দেশব্যাপী মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি চালু করছে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) জাতীয় কনফারেন্স ২০১৯ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, এসব কথা বলেন। ঢাকায় গুলশানে স্পেকট্রা কনভেশ সেন্টারে বাংলাদেশ আরলি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট (ইসিডি) নেটওয়ার্ক বেন এটির আয়োজন করেছে।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশের বন্যা ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা হস্তান্তর করলেন চীনা রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশ ইসিডি নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান ড.মঞ্জুর আহমদের সভাপতিত্বে কনফারেন্সে আরো বক্তব্য রাখেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী ও ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ মিজ ভেরা মেন্দোসা এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. ইহসানুর রহমান।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, সরকার সকল প্রকার উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় শিশুর উন্নয়ন এবং কল্যাণের বিষয় অন্তর্ভূক্ত করছে। শিশুদের উন্নয়নে ১৫ টি মন্ত্রণালয় ৮০ হাজার কোটি টাকার শিশুকেন্দ্রিক বাস্তবায়ন করছে। শিশুর উন্নয়ন, পুষ্টি ও নিরাপত্তার জন্য সময়পোযোগী বিভিন্ন আইন ও নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে এবং শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র আইন প্রক্রিয়াধীন আছে।
তিনি বলেন, বেন বাংলাদেশে শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশে যেসব চ্যালেঞ্জ আছে তা মোকাবেলা ও দেশি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে সহযোগিতার ভিত্তিতে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
বেন আয়োজিত জাতীয় কনফারেন্সে বক্তারা শূন্য থেকে আট বছর বয়সী শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ, যত্ন ও উন্নয়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
ফেসবুক পেজ :
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা