স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী জাতীয়ভাবে পালনের দাবি জানিয়েছে নাগরিক পরিষদ। সেই সঙ্গে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখতে ভাসানীর আদর্শ ও চেতনায় জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান পরিষদের নেতারা।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৩ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ দাবি জানান। সকাল ১০ টায় নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীনের সভাপতিত্বে ২২/১ তোপখানা রোডস্থ শিশু কল্যাণ পরিষদ কনফারেন্স রুমে এটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মোহাম্মদ শামসুদ্দীন বলেন, স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা মওলানা ভাসানীর জন্মদিবস-মৃত্যুদিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয়ভাবে পালন করতে সরকারের নিকট আহ্বান জানাচ্ছি। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী সকল চুক্তি বাতিল করতে হবে। দুর্নীতিবাজ-মার্কা ব্যবসায়ী-মানি লন্ডারিংকারী দুর্বৃত্তদের রুখতে মওলানা ভাসানীর চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হতে সকলের নিকট আহ্বান জানাই।
তিনি বলেন, দ্বৈত নাগরিক, বিদেশী এজেন্ট মুক্ত জাতীয় সংসদ, রাজনীতি ও প্রশাসন চাই। সীমান্ত আগ্রাসন, পানির আগ্রাসন, সাংস্কৃতিক আগ্রাসনসহ আধিপত্যবাদী আগ্রাসন রুখে দাঁড়াতে জনগণের ঐক্যের কোন বিকল্প নাই।
আরও পড়ুন :স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল, সম্পাদক বাবু
জ্বালানী বিশেষজ্ঞ বিডি রহমতুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সম্পদ, জনসম্পদের অপূর্ব ভান্ডার। এখানে লুটপাট না হলে দারিদ্র্য জাদুঘরে যেত। মওলানা ভাসানীর আদর্শে অনুপ্রাণিত সকল মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করা এখন সময়ের দাবী। জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে জল, জন, ভূমি এই তিন সম্পদকে কাজে লাগিয়ে দারিদ্র্য মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
কলামিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, হযরত মোহানী ও মওলানা ভাসানী জনগণের অধিকার আদায়ে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। হাজী মোহাম্মদ শরীয়তউল্লাহ জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য ভাগ্যকূলের জমিদারকে পদ্মায় চুবিয়ে মেরে কৃষকের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর ছেলে পীর দুদু মিয়াও জনগণের মুক্তির সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিলেন। মওলানা ভাসানী একজন জনদরদি শোষিত মজলুম মানুষের পক্ষে লড়াই করে শিখিয়ে গেছেন শোষণ মুক্তির পথ কি।
মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক গাফ্ফার খান বলেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির সম্মুখীন। মওলানা ভাসানীর চেতনায় জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে ব্যর্থ হলে তাঁর ডাকে যেই স্বাধীনতার জন্য জীবন দিতে গিয়েছিলাম তা আজ ব্যর্থ প্রমাণ হবে।
দুর্নীতির প্রতিরোধ আন্দোলনের আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ খান বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে মওলানা ভাসানীর চেতনায় জাতীয় ঐক্য গড়তে জনগণের নিকট আহ্বান জানান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুজ্জামান মিলন বলেন, আমার কবিতার অনুপ্রেরণা মওলানা ভাসানী। স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রেরণা মওলানা ভাসানী। তিনিই মুক্তিযুদ্ধের আহ্বায়ক।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি বাগপা’র চেয়ারম্যান এড. কাজী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আজ স্লোগান উঠছে ছাত্র, যুব সমাজ ও জনগণের মধ্যে দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা। অর্থাৎ জনগণ ভারতের আধিপত্য মেনে নিবে না, আবরারের চেতনায় রাডার বসানোর চুক্তি বাতিল করতে হবে। ফেনী নদীর পানি দেওয়া চলবে না।
স্মরণসভায় আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামী ঐক্যজোটের শীর্ষনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মওলানা শওকত আমিন, গণঐক্যের আহ্বায়ক আরমান হোসেন পলাশ, বাংলাদেশ মানবাধিকার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সামছুদ্দিন বাহার, এড. শহীদুল ইসলাম, সিএলএনবি’র চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ, ঢাকা মহানগর নাগরিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এয়াকুব শরীফ। বক্তব্য রাখেন প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ ফোরামের সভাপতি এন.ইউ. আহম্মেদ, দুর্নীতির প্রতিরোধ আন্দোলন ধানমন্ডির সভাপতি নুরুল ইসলাম বিপ্লব, গ্রীণ পার্টির চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ খান, হানিফ বাংলাদেশী, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা: সামছুল আলম।
ফেসবুক পেজ :
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা