অনলাইন ডেস্ক
শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) ভোরে বেনাপোল বন্দরের টিটি আই টার্মিনালে এ আগুনের সূত্রপাত ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট ও স্থানীয় গ্রামবাসীর সহযোগিতায় দীর্ঘ ৩ ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
বন্দর কর্মকর্তা ও ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা বলছেন, তদন্ত শেষে আগুনের সঠিক কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারবেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোরে তারা বন্দরের মধ্যে একটি ট্রাকে আগুন জ্বলতে দেখে ছুটে আসে। সাথে সাথে আগুন ছড়িয়ে পড়লে আশপাশে থাকা আরও ৪টি ট্রাক পুড়ে যায়। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীর সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট ৩ ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে বন্দরের মধ্যে রাখা ৫টি ভারতীয় ব্লিচিং পাউডারবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন মেশিনারিজ পণ্য পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এদিকে বন্দরের অব্যস্থাপনায় বারবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতির শিকার হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম জানান, ব্লিচিং পাউডার তেজক্রিয়া হয়ে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বলে ধারণা করা হচ্ছে। বন্দরের অব্যবস্থাপনায় বারবার এভাবে অগ্নিকাণ্ডে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির শিকার হলেও বন্দরের কোন দায়ভার নেই। এ নিয়ে গত ১০ বছরে বেনাপোল বন্দরে ৫ থেকে ৬ বার বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে শত শত কোটি টাকার পণ্য পুড়ে অনেক আমদানিকারক পুঁজি হারিয়ে পথে বসেছে।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এর আগেও কয়েকবার ব্লিচিং পাউডার থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এবার অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে তদন্ত কমিটি করা হবে। আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা