অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের করোনা উপাত্ত সম্পর্কে তার এই ধারণার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। তিনি বলছেন, ব্যাপকভাবে পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে এলাকাভেদে বৈষম্য রয়েছে এবং পরীক্ষার ফলাফল পেতে অনেক বেশি সময় লাগছে।
অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক ব্যবস্থাটিই করোনা পরীক্ষার যে উপাত্ত উৎপাদন করছে তার কোনো অর্থই নেই!
সম্প্রতি সিএনএনের থার্সডে নাইট অনুষ্ঠানে অ্যান্ডারসন কুপার ও ড. সঞ্জয় গুপ্তের সঙ্গে আলাপে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে দৈনিক প্রায় ২ লাখ করোনা পরীক্ষা করছে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রকে মধ্যগ্রীষ্মের মধ্যে দৈনিক ২ কোটি মানুষের করোনা পরীক্ষা করার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
করোনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত ত্রুটির কথা বলছেন বিল গেটস। তিনি বলছেন, করোনা সঙ্কট শুরুর দিকের চেয়ে এখন যুক্তরাষ্ট্র দৈনিক ভিত্তিতে অনেক বেশি মানুষের নমুনা পরীক্ষা করছে।
কিন্তু সর্বশেষ উপাত্ত দেশের প্রকৃত করোনা পরিস্থিতির চিত্র দিতে পারছে না। বিশেষ করে যেসব এলাকায় নিম্নআয়ের মানুষের বসবাস সেসব এলাকার ডাটা মোটেও অর্থপূর্ণ হচ্ছে না।
তিনি বলেন, যাদের পরীক্ষা করা দরকার যুক্তরাষ্ট্র তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পরীক্ষা করছে না। এছাড়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফলাফল দেয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করা হচ্ছে না।
যুক্তরাষ্ট্রে করোনা পরীক্ষা এখনো একটি দীর্ঘ ও জটিল প্রক্রিয়া। কোনো ব্যক্তি কভিড-১৯ নেগেটিভ নাকি পজেটিভ এটি জানতে নমুনা নেয়ার পর পরীক্ষার ফল পেতে কয়েক দিন পযন্ত অপেক্ষা করতে হয়।
বিল গেটস বলেন, আপনি যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল জানতে পারেন তাহলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারবেন। এভাবে এটিকে গণনা করতে পারবেন।
তিনি যোগ করেন, সংক্রমিত হওয়ার প্রথম তিন কি চার দিন আক্রান্ত ব্যক্তির মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ানো সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তিনি পরীক্ষার ফলাফলটা না পাওয়া পযন্ত নিশ্চিতভাবে অন্য মানুষের সঙ্গে মিশবেন এবং ভাইরাস ছড়াবেন।
বিল গেটস ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, তাহলে পরীক্ষা করার অর্থটা কী? এটাই তো আপনার রোগ ছড়ানোর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সময়।
নিম্নআয়ের মানুষেরা পরীক্ষার সুযোগ কম পাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই লোকগুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে না। অথচ আমরা জানতে পারছি যে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে এ ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি।
তিনি বলেন, আমাদের পুরো ব্যবস্থাটাই সেই অগ্রাধিকার নির্ধারণে ব্যর্থ যা আমাদের করোনা পরীক্ষার সঠিক উপাত্ত নিশ্চিত করতে পারতো।
প্রসঙ্গত, বিল গেটস কয়েক বছর ধরেই একটি মহামারীর পূর্বাভাস দিয়ে সতর্ক করে যাচ্ছিলেন। এর আগে তিনি বলেছিলেন, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সঙ্কটের কারণে এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে ৩ কোটি মানুষ নির্বিচারে প্রাণ হারাতে পারে।
গত এপ্রিল ফিন্যানসিয়াল টাইমসকে তিনি বলেছিলেন, কভিড-১৯ এমন একটি অভিজ্ঞতা মানুষকে দেবে যা সে তার সারা জীবনেও কখনো দেখবে না। এ ধরনের মহামারী প্রতি ২০ বছর অন্তর আসবে বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করেন তিনি।
সূত্র: সিএনএন, বিজনেস ইনসাইডার
fblsk
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা