অনলাইন ডেস্ক
ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পৃষ্ঠপোষকতা করে আসা ওয়ালটন গ্রুপ এবার যুক্ত হলো বিপিএলে। টুর্নামেন্টের পাওয়ার স্পন্সর হলো ওয়ালটন। টুর্নামেন্টের পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে বিবিএস কেবলস। বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ ও বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীকে সম্মান জানিয়ে এ আসরের নামকরণ করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু বিপিএল টি-২০ ২০২২, প্রেজেন্টেড বাই বিবিএস কেবলস, পাওয়ার্ড বাই ওয়ালটন।’
যেখানে ক্রিকেট, সেখানেই ওয়ালটন। বিশেষ করে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল যেখানেই খেলতে যাচ্ছে- সেখানেই ওয়ালটন থাকছে। গত এক দশক ধরে এর তেমন কোনো ব্যত্যয় হয়নি। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, সবখানেই রয়েছে ওয়ালটন গ্রুপ। ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জৌলুসপূর্ণ ও মর্যাদার আসর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ এবং বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে দেশের অন্যতম প্রধান টুর্নামেন্ট জাতীয় ক্রিকেট লিগের এগারো আসরের স্পন্সর ওয়ালটন।
পাশাপাশি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকও কোম্পানিটি। এরই মধ্যে তারা প্রতিযোগিতার প্রথম, চতুর্থ ও অষ্টম আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। সবশেষ বিসিএলে চারদিনের ও একদিনের টুর্নামেন্টে ডাবল শিরোপা জিতেছে ওয়ালটন।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শের-ই-বাংলায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিপিএল পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করে বিসিবি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিসিবির পরিচালক ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক, বিসিবির পরিলচাক তানবীর ইসলাম টিটু, বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী, বিবিএস কেবলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার ও ওয়ালটন গ্রুপের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম।
ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেছেন, ‘আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। বিবিএস কেবলস প্রতিযোগিতার টাইটেল স্পন্সর, ওয়ালটন পাওয়ার্ড বাই স্পন্সর। কোভিড পরিস্থিতি থাকার পরও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান যেভাবে এগিয়ে এসেছে তাদের ধন্যবাদ দিতে চাই।’
বিবিএস কেবলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার বলেছেন, ‘আমরা সুযোগ পেয়েছি টুর্নামেন্টে পৃষ্ঠপোষকতা করার। বিবিএস কেবলস যখনই সুযোগ পায় ক্রিকেটে যুক্ত হওয়ার তখনই যুক্ত হয়। আমরা ভবিষ্যতেও ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করতে চাই।’
ওয়ালটন গ্রুপের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম বলেছেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেট হোক, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হোক; যেখানেই ক্রিকেট আছে সেখানেই আছে ওয়ালটন গ্রুপ। ওয়ালটনের একটাই লক্ষ্য বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়ন। সেজন্য আমরা চাই জাতীয় দলের পাইপলাইন আরো সমৃদ্ধ হোক। এজন্য ওয়ালটন সবধরনের ক্রিকেটের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করে। বিসিবি আমাদের সেই সুযোগ ভবিষ্যতেও দেবে, আমরা সেটা নেওয়ার চেষ্টা করব। আমরা প্রত্যাশা করছি বঙ্গবন্ধুর নামে যে টুর্নামেন্ট সেটি অত্যন্ত জাকজমকপূর্ণ, জমজমাট হবে।’
ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট- তিন ভেন্যুতে হবে বিপিএলের ম্যাচগুলো। মোট ২৭ দিনে ৩৪ ম্যাচ। শুক্রবার দুপুর দেড়টায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও ফরচুন বরিশালের ম্যাচ দিয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে এই আসরের। রাতের ম্যাচ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় খেলবে মিনিস্টার ঢাকা ও খুলনা টাইগার্স।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা