অনলাইন ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের কিছু মানুষ বিদেশে বসে অপপ্রচার চালায়, যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা কিন্তু অপরাধী, কোন অপরাধ করে হয়তো চাকরি হারিয়েছে নয়ত দেশ ছেড়েছে। সেখানে( আমেরিকায়) যুদ্ধাপরাধীরা যেমন স্থান পেয়েছে, জাতির পিতার খুনি সাজাপ্রাপ্ত আসামী সেও কিন্তু আমেরিকায় বসবাস করছে। তাকে তারা ওখানকার সিটিজেন করে নিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা বারবার তাদের অনুরোধ করছি, প্রেসিডেন্টের কাছে চিঠি দিচ্ছি। একের পর এক প্রেসিডেন্ট আসছে আমরা তার কাছে ধর্না দিয়ে যাচ্ছি। জাস্টিস ডিপার্টমেন্টে আমরা আহবান করেছি যে এরা অপরাধী, এরা শিশু হত্যাকারী, এরা নারী হত্যাকারী, এরা খুনি, ১৫ আগস্টে এরা খুন করেছে। কাজেই এদের আমাদের দেশে ফেরত দিন। কিন্তু তারা অপরাধীদের রক্ষা করে তাদের দেশে স্থান দেয় আর বিনা অপরাধে আমাদের দেশে স্যাংশন দেয়। এটা তাদের চরিত্র, তাদের বিষয়ে আর কী বলব!
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দেখেছি সেখানে একটা বাচ্চা ছেলে পকেটে হাত দিয়েছে বলে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, রাস্তায় ফেলে গলায় পাড়া দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোন অপরাধ করলে শাস্তি দেয়া হয়না। কিন্তু বাংলাদেশ একমাত্র দেশ পৃথিবীতে যেখানে যে কেউ অপরাধ করলে আমরা শাস্তির বিধান করি।
র্যাবের কয়েকজন কর্মকর্তার উপর স্যাংশন দেওয়াকে গর্হিত কাজ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের জলদস্যু, বনদস্যু দমন, হলি আর্টিজানের ঘটনা কয়েক ঘণ্টায় শেষ করা এসব সাফল্যে তারা দুঃখ পেয়েছে কিনা বলতে পারিনা। কিন্তু বাংলাদেশ যে এক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছে সেটা সত্য। আর সেখানে স্যাংশন দেওয়া অত্যন্ত গর্হিত কাজ বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সময়ে জঙ্গীদের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। র্যাব এসব দমনে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছে। নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে র্যাব দ্রুত তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই। বাংলাদেশ ইনশাআল্লাহ এগিয়ে যাবে এবং উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বিশ্বের মধ্যে মর্যাদা পাবে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা