মহান বিজয় দিবস ভিয়েতনামে হ্যানয় বাংলাদেশ দূতাবাস এ যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে রাষ্ট্রদূত জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, দোয়া ও মোনাজাত, মুক্তিযুদ্ধের উপর বিশেষ আলোকচিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা অনুষ্ঠান এবং ডকুমেন্টারী প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে ।
ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ সকালে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচীর সূচনা করেন। দূতাবাসের কর্মকতা ও কর্মচারীগণ এবং ভিয়েতনামে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী সপরিবারে এবং স্থানীয় গণ্যমান্য অতিথিবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। দুপুরে স্থানীয় প্যান প্যাসিফিক, হ্যানয় হোটেলে বিজয় দিবসের তাৎপর্য্য উল্লেখ করে এক বিশেষ অনুষ্ঠান ও মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্ট, ভিয়েতনাম ইউনিয়ন অব ফ্রেন্ডশীপ অর্গানাইজেশন নুয়েন ফুংনা এবং প্রবাসী বাংলাদেশীগণ, ভিয়েতনামের ডিপ্লোমেটিক কোরের ডীন(প্যালেষ্টাইন-এর রাষ্ট্রদূত), ভারত,মালয়েশিযা, ইন্দোনেশিয়া ও ব্রুণাইসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতগণ, ভিয়েতনাম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তা, ভিয়েতনামের একমাত্র ইংরেজী দৈনিক ভিয়েতনাম নিউজের প্রতিনিধি, ভিয়েতনাম টিভি চ্যানেলের প্রতিনিধি ও অন্যান্য মিডিয়া, ব্যবসায়ী প্রতিনিধিবৃন্দসহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সভায় দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ ও সপরিবারে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ আগত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন । বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের ইতিহাসে এ দিবসের তাৎপর্য এবং বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নের্তৃত্বের কথা তিনি সশদ্ধ চিত্তে স্মরণ করেন। রাষ্ট্রদূত কৃতজ্ঞ চিত্তে আরো স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থক, মুক্তিযুদ্ধে অত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের যাঁদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা,যারা দেশ মাতৃকার জন্য জীবন এবং নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন তাঁদের আত্মত্যাগের কথা। আরও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিদেশী বন্ধুসহ যাঁরা আমাদের বিজয় অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশেরসমৃদ্ধি,ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতিএবং আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি বিষয়ে আমন্ত্রিত অতিথিদের অবহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গত দশ বছরের অভূতপূর্ব সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং একটি মধ্যম আয়ের দেশে এগিয়ে যাওয়ার কথা তিনি উল্লেখ করেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় সংকল্পে প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ট নেতৃত্বে প্রবাসী বাংলাদেশীসহ সকলকে একযোগে কাজ করার জন্য তিনি আহব্বান জানান।
প্রধান অতিথি নুয়েন ফুংনা তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং ভিয়েতনামের কমিউনিষ্ট পার্টির সেক্রেটারী জেনারেল এবং রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে উভয় দেশ ক্রমাগতভাবে উন্নতি লাভ করেছে এবং দুই দেশের সম্পর্ক গভীরতর পর্যায়ে উপনীত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অগ্রগতির বিষয়ক একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। বিজয় দিবসের উল্লেখযোগ্য আকর্ষন হিসেবে রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ প্রধান অতিথি ম্যাডাম নুয়েন ফুংনা-কে নিয়ে বাংলদেশ দূতাবাস কর্তৃক অয়োজিত বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের উপর একটি বিশেষ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠান শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে বাংলাদেশী নানা স্বাদের খাবার দিয়ে মধ্যাহ্ন ভোজে আপ্যায়িত করা হয় ।
আরও পড়ুন : রাজাকার যখন নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে তখন খুব খারাপ লাগে : আব্দুস সামাদ তালুকদার
লালসবুজের কথা’র ফেসবুক পেজ :
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা