ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে বাচ্চু মিয়া নামের এক যুবককে গলাকেটে হত্যা করেছে স্ত্রী রিনা আক্তার ও তার প্রেমিক।
নিহত বাচ্চু বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তেজখালী ইউনিয়নের বাহেরচর দক্ষিণ পাড়ার মৃত হারিস মিয়ার ছেলে।
রোববার সকালে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার খাল্লা গ্রামের উত্তর-পশ্চিম পাড়ার নির্জন কলাবাগান থেকে বাচ্চুর লাশ উদ্ধার করা হয়। এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বাহেরচর গ্রামের মৃত হারিস মিয়ার ছেলে বাচ্চু মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের তুজু মিয়ার ছেলে রফিক মিয়া ঘনিষ্ঠ সস্পর্ক ছিল। সেই সূত্রে গত দুই বছর ধরে বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী রিনা আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে রফিকের। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সালিশ দরবারও হয়েছে। তবুও ফেরানো যায়নি দুজনকে। এতকিছুর পরও রফিকের সঙ্গে বাচ্চুর বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়ে যায়।
স্থানীয় বাজারে বাচ্চুর একটি দোকান ছিল। শনিবার বিকালে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে দোকানের জন্য মালামাল কিনতে রফিকের মোটরসাইকেলে চড়ে ছয়ফুল্লাকান্দি বাজারে যায় বাচ্চু। রাত ১১টায় বাচ্চুর নিখোঁজের খবর পায় পরিবার।
শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। বাচ্চুর বড় ভাই মেজবাহ উদ্দিন সাগর ৫/৬ জনকে নিয়ে খোঁজ করতে থাকে বাচ্চুর। এতে যোগ দেয় রফিকও। ভোরে সবাইকে একদিকে পাঠিয়ে রফিক যায় কলাবাগানে।
কিছুক্ষণ পর রফিক জানায়, কেউ একজন তাকে বলেছে কলাবাগানের ভেতরে বাচ্চুর লাশ পড়ে আছে। তখনই সন্দেহ হয় সবার। পরে নিহতের স্ত্রী রিনা আক্তার ও ঘাতক রফিককে জনতা আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
এ বিষয়ে নিহতের বড় ভাই মেজবাহ উদ্দিন সাগর বলেন, বাচ্চুর স্ত্রী নিখোঁজের বিষয়টা গোপন রেখেছিল। বাচ্চুর স্ত্রী ও রফিক মিলেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ সাগরের।
এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি সালাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, বাচ্চুকে গলাকেটে করে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রিনা আক্তার ও অভিযুক্ত যুবক রফিককে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য বেরিয়ে আসবে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা