পরিকল্পনামন্ত্রী মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশে এসডিজি’র বাস্তবায়ন অগ্রগতি তুলে ধরেন। জাতিসংঘ সদর দপ্তরে চলতি ‘কার্যকর উন্নয়ন সহযোগিতার জন্য বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব (জিপিইডিসি)’ এর সিনিয়র-লেভেল মিটিং (এসএলএম)-এ প্রদত্ত বক্তৃতায় বাংলাদেশের এসডিজি’র বাস্তবায়ন অগ্রগতি তুলে ধরেন তিনি।
প্রথমবারের মতো আয়োজিত জিপিইডিসি’র এই সিনিয়র লেভেল মিটিং এ বাংলাদেশের পরিকল্পনা মন্ত্রী ফোরামটির কো-চেয়ার হিসেবে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন।
এইচএলপিএফ-এ অংশগ্রহণ উপলক্ষে নিউইয়র্ক সফরররত বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী এতে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ (এসডিজি) ও কার্যকর উন্নয়ন অংশীদারিত্ব উভয় বিষয়েই দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দৃশ্যপট অনুযায়ী এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশ দারুন সফলতার সাথে এগুচ্ছে। আমরা দারিদ্র্য হার ২১.৮ শতাংশে এ নামিয়ে আনতে পেরেছি যা ২০০৫ সালে ছিল ৪০ শতাংশ। টেকসই প্রবৃদ্ধি ও এর উচ্চ ধারা অব্যাহত রাখতে আমরা ব্যাপক কর্মসংস্থান, অসমতা দূর, লিঙ্গসমতা নিশ্চিত ও সমগ্র সমাজ দৃষ্টিভঙ্গির মতো কৌশলসমূহ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। পাশাপাশি উন্নয়ন অংশীদারদের সাথে কার্যকর অংশীদারিত্ব সৃষ্টি করেছি।’
২০১৬ সালে কেনিয়ার নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত জিপিইডিসি’র দ্বিতীয় উচ্চ পর্যায়ের সভার উদাহরণ টেনে মন্ত্রী বলেন, ‘নাইরোবি থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ কো-চেয়ার হিসেবে জিপিইইডসি-কে একটি কার্যকর প্লাটফর্মে পরিণত করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্ঠা গ্রহণ করেছে যাতে জিপিইডিসি-এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ বাস্তবায়িত হয়।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল আমিনা জে. মোহাম্মদ, জাতিসংঘের অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও উন্নয়ন বিভাগের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল জেফ্রে চলাজেনহফ, ইউএনডিপি’র পরিচালক মিজ্ উলরিকা মুডার এবং দ্যা রিয়েলিটি অব এইড আফ্রিকার প্রতিনিধি ভিটালাইচ মেজা।
বক্তারা আশা প্রকাশ করেন জাতীয় পর্যায়ে ও বৈশ্বিকভাবে এসডিজি’র বাস্তবায়নকে ত্বরাšি^ত করতে এই সিনিয়র লেভেল মিটিং সরকার, সিভিল সোসাইটি ও অন্যান্য অংশীজনদের চলমান গতিকে বহুগুণে বাড়িয়ে দিবে।
সদস্য দেশসমূহের প্রতিনিধিবর্গের পাশাপাশি সিভিল সোসাইটি, বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি খাত ও ট্রেড ইউনিয়নের বিপুল সংখ্যক প্রতিনিধি এ সভায় অংশগ্রহণ করেন।
প্রেস রিলিজে জানানো হয়, সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মনোয়ার আহমেদ।
NB:This post is copied from kalerkantho
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা