বাংলাদেশে আগের তুলনায় ২০১৮ সালে জঙ্গি কর্মকাণ্ডের প্রবণতা ও বিস্তার কমেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে ‘কান্ট্রি রিপোর্ট অন টেররিজম ২০১৮’ শিরোনামের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের নিরাপত্তাবাহিনী পরিকল্পিত হামলা ঠেকাচ্ছে, সন্দেহভাজন জঙ্গি নেতাদের গ্রেপ্তার এবং অস্ত্র, গুলি ও বিস্ফোরক জব্দ করছে। জঙ্গিবাদের বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ বা বিন্দুমাত্র ছাড় না দেওয়ার নীতি বজায় রেখেছে সরকার।
তবে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের বিচারে প্রতিবন্ধকতা এবং অভিযানের সময় নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’ জঙ্গিবিরোধী ব্যাপক সফলতাকে সমালোচনার মুখে ফেলছে বলেও মন্তব্য করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৮ সালে আলাদা ঘটনায় এক অসাম্প্রদায়িক লেখক হত্যাকাণ্ডের শিকার এবং এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক মারাত্মক আহত হন। সে বছরের ১১ জুন মুন্সীগঞ্জে লেখক ও রাজনৈতিক কর্মী শাজাহান বাচ্চুকে হত্যা করে সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীরা।
এ ছাড়া ৩ মার্চ নিজেকে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট গ্রুপের সদস্য দাবি করা এক ব্যক্তি সিলেটের এক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক জাফর ইকবালের ওপর হামলা করে। ওই দুটি ঘটনার পরও ওই বছর বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের বিস্তার ও প্রবণতা কমেছে বলে জানায় যুক্তরাষ্ট্র।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জঙ্গি কর্মকাণ্ডের জন্য বাংলাদেশ সরকার সব সময় স্থানীয় জঙ্গিদের দায়ী করেছে। এর পরও ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশে প্রায় ৪০টি হামলার ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে ভারতীয় উপমহাদেশের আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
জঙ্গি সংগঠনগুলো তাদের মতাদর্শ প্রচারের জন্য এবং বাংলাদেশ থেকে অনুসারী সংগ্রহের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সীমান্ত ও বন্দরে নিয়ন্ত্রণ জোরদার করতে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা নিয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটসহ পুলিশের অন্য সব সংস্থা সন্দেহভাজন জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান ও গ্রেপ্তার অব্যাহত রেখেছে। এসব অভিযানে অনেক সন্দেহভাজন নিহত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জঙ্গিবাদ দমনসংক্রান্ত জাতীয় কমিটি ইমাম ও আলেমদের নিয়ে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সচেতনতা কার্যক্রম চালাচ্ছে। পুলিশও জঙ্গিবাদবিরোধী প্রচারে ধর্মীয় নেতাদের সহযোগিতা নিচ্ছে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা