অনলাইন ডেস্ক
বায়ান্ন বছরেও একবিন্দু পুরনো হয়নি বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ। দিয়েছিলেন একাত্তর সালের আজকের দিনে। সেই ভাষণে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। ইউনেস্কোর বিবেচনায় বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ৪১টি ভাষণের একটি। ইতিহাসবিদরা সাতই মার্চের ভাষণকে রাজনীতির মহাকাব্য বলেন। একাত্তরে জীবন্ত ভাষণ দেখে ও শুনে যে উজ্জীবনী শক্তি জেগেছিল স্বাধীনতাকামী বাঙালির মধ্যে, ঠিক একই রকম জাগরণ নতুন প্রজন্মের মধ্যে আজও হয় শুধু ভাষণের রেকর্ড শুনে।
দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের চুড়ান্ত পর্ব একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের শুরু ও শেষ, দুটোরই সবচে বড় একক স্বাক্ষী এই বিশাল ময়দানের মাটি। একাত্তরের সাতই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যখন এখানে ভুবন কাঁপানো ভাষণ দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন তখন এই ময়দানের নাম ছিল রেসকোর্স; এখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। নাম যাই হোক, ঐতিহাসিক ঘটনার বিচারে এটা দেশের স্বাধীনতার ময়দান। এখানে একাত্তরের সাতই মার্চ বঙ্গবন্ধুর জীবন্ত ভাষণ শুনে যে অনুভুতি জেগেছিল অংশগ্রহণকারীদের, অবিকল সেই অনুভুতির শুধু ভাষণের রেকর্ড শুনে এখনও জাগে বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে।
ভাষণের এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম
নবীন প্রজন্মের বহু তারুণ্যের পর্যক্ষেণ, বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের অসামান্য ভাষণে বর্বর পাকিস্তানি শাসকদের শোষন ও নিষ্পেষণের ইতিহাসও চিরকালের জন্য জীবন্ত হয়ে আছে।
স্বাধীনতার এই উদ্যান ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে প্রতিদিন শতশত নবীন ছেলেমেয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে আসে। ঘুরতে ঘুরতে বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণের মুখোমুখি হলে তারা নিজের দেহ-মনে অসীম শক্তির সন্ধান পায়।