অনলাইন ডেস্ক
শুক্রবার (২৩ জুলাই) দিবাগত রাতে রাজধানীর গুলশানে একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন তিনি।
ডিএসসিসি মেয়র তাপস তার শোকবার্তায় বলেন, “বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সব আন্দোলনে ফকির আলমগীর তাঁর গানের মাধ্যমে দেশের মানুষকে উজ্জীবিত করেছেন। তিনি ৬৯ এর গণঅভ্যুথানে, ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের একজন শব্দ সৈনিক হিসেবে এবং স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে ৯০ এর সামরিক শাসন বিরোধী গণআন্দোলনে তাঁর গানি দিয়ে সামিল হয়েছিলেন। তাঁর এই অবদান প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে গভীর শ্রদ্ধায় চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস আরও বলেন, “ফকির আলমগীর দেশজ ও পাশ্চাত্য সঙ্গীতের মেলবন্ধন ঘটিয়ে বাংলা গানে নতুন মাত্রা সংযোজন করেন। তাঁর গান বঞ্চিত, শোষিত ও নিপীড়িত জনগোষ্ঠীকে যেমন মুক্তির আস্বাদনে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে তেমনি তাঁর কণ্ঠে বাঙলা ও বাঙালির নিত্যকার হাসি-কান্না, হর্ষ-বিষাদ ও রাগ-অনুরাগের প্রাণবন্ত প্রকাশ পেয়েছে। তাঁর সৃষ্টিশীল সব গানের মাঝে এবং এ দেশে গণসঙ্গীতের বিকাশ ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় তিনি আমাদের মাঝে চির অম্লান হয়ে থাকবেন।” অন্যদিকে এক শোকবার্তায় ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনে ফকির আলমগীর ছিলেন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি গানের পাশাপাশি নিয়মিত লেখালেখিও করতেন। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর মৃত্যু দেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি তাঁর কর্মের মধ্যেই এ দেশের আপামর জনসাধারণের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন চিরকাল।
ডিএনসিসির মেয়র মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা