অনলাইন ডেস্ক
দুবাই শাসকের এই নিখোঁজ কন্যাকে সবশেষ ২০১৮ সালে দেখা গিয়েছিল। গত মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত বলেছে, প্রিন্স লতিফা পরিবার ও চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে বাড়িতে আছেন।
তিনি জীবিত আছেন কিনা—দুবাইয়ের কাছে বেশ কয়েকবার সেই প্রমাণ চেয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রবসহ অন্যান্য পশ্চিমা দেশের সরকারের কাছ থেকেও একই দাবি এসেছে।
জেনেভায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের মুখপাত্র মার্তা হুরতাদো বলেন, আমাদের অনুরোধে সাড়া দেয়নি সংযুক্ত আরব আমিরাত। লফিতার বর্তমান অবস্থা নিয়েও তাদের কাছ থেকে কোনো পরিষ্কার ব্যাখ্যা আসেনি।
তিনি বলেন, আমরা তার জীবিত থাকার কোনো প্রমাণ পাইনি। আমরা এমন একটি প্রমাণ চাই, যাতে তিনি বেঁচে আছেন বলে স্পষ্ট প্রমাণ থাকবে। আমাদের প্রথম উদ্বেগ হলো, রাজকন্যা লফিতা জীবিত আছেন—তা নিশ্চিত হওয়া।
লতিফার বিষয়ে কথা বলতে আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করতে চেয়েছেন জাতিসংঘের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।
হুরতাদো বলেন, লতিফার বড় বোন প্রিন্স শামসার বিষয়টিও তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। ব্রিটেনের ক্যামব্রিজের সড়ক থেকে ২০০০ সালে তিনি অপহৃত হন।
এক ভিডিও বার্তায় ৩৫ বছর বয়সী শেখ লতিফা দাবি করেন, তার বাসাটি কারাগারে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এরপরে তার ভাগ্য নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়। ২০১৮ সালে তিনি আমিরাত ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। একটি ইয়টে করে প্রতিবেশী ওমান অতিক্রম করে আন্তর্জাতিক জলসীমায় প্রবেশ করেন।
তিনি মূলত ভারতের পশ্চিম উপকূলে পৌঁছাতে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তার আগেই ভারতীয় কোস্টগার্ড সদস্যরা তাকে আটক করে আরব আমিরাতের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে তুলে দেয়।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা