মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের অষ্টম আসরের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে পূর্বাঞ্চলের হয়ে মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো তিনশ রান করলেন দেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল।
গতবছর মার্চে সবশেষ টেস্ট খেলেছেন তামিম ইকবাল। এরপর বাংলাদেশ আরও তিনটি টেস্ট খেললেও ব্যক্তিগত কারণে ছুটি নেওয়া তামিমের খেলা হয়নি।
মাঝে জাতীয় লিগে খেলা একটি ম্যাচই বাঁহাতি এই ওপেনারের সবশেষ ৯ মাসে লংগার ভার্সন ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সামনে রেখে বিসিএল দিয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগটা ভালোভাবেই কাজে লাগালেন তামিম ইকবাল, তুলে নিলেন দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ট্রিপল সেঞ্চুরি।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২২২ রান নিয়ে দিনশুরু করা তামিম ইকবাল লাঞ্চের আগেই পার করেন ২৫০ রান। ২৫০ রানে পৌঁছাতে বল খেলেন ৩১৫, চার মারেন ৩৪ টি।
ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের বোলারদের যেভাবে শাসন করছিলেন ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোনের এই ব্যাটসম্যান তাতে মনে হচ্ছিল লাঞ্চের আগেই ট্রিপল সেঞ্চুরি করে ফেলবেন।
কিন্তু সবাইকে অপেক্ষায় রেখে ২৭৯ রান নিয়ে লাঞ্চে যান দেশসেরা এই ওপেনার। ট্রিপল সেঞ্চুরি করার আগেই তামিমের জন্য অপেক্ষা করছিল আরও একটি মাইলফলক।
৮ রান করলেই পূর্ণ হবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার ৭০০০ রান। লাঞ্চের পর অনেকটা ধীরে এগোতে থাকেন তামিম। মুকিদুল ইসলামের করা ১৩০তম ওভারের শেষ বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট অঞ্চলে ঠেলে দিয়ে এক রান নিলে প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ৭০০০ রান পূর্ন হয় তামিমের।
তবে ট্রিপলের জন্য অপেক্ষা করতে হল আরও কিছুক্ষণ। মুস্তাফিজুর রহমানকে ১৩২তম ওভারের পঞ্চম বলে চার মেরে পৌঁছান ২৯৭ রানে, পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ২৯৮ রানে স্ট্রাইক ধরে রাখেন। ১৩৩ তম ওভারে শুভাগত হোমের ওভার থেকে নেননি কোন রান।
১৩৪ তম ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানের প্রথম বলেই সিঙ্গেল নিয়ে তামিমকে স্ট্রাইক দেন ইয়াসির আলি, পঞ্চম বল থেকে এক রান নিয়ে ২৯৯ তে তামিম।
শুভাগত হোমের করা ১৩৫ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে পেয়ে যান কাঙ্খিত ট্রিপলের দেখা। শর্ট মিড উইকেট অঞ্চলে ঠেলে দিয়ে এক রান নিয়ে ৪০৭ বলে পৌঁছান ট্রিপলে, হাঁকিয়েছেন ৪০ টি চার।
এর আগে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি হাঁকান রাকিবুল হাসান। ২০০৬-৭ মৌসুমে ইস্পানি মির্জাপুর জাতীয় লিগে ফতুল্লায় বরিশাল বিভাগের হয়ে সিলেটের বিপক্ষে ট্রিপল সেঞ্চুরি তুলে নেন রাকিবুল। ৬৬০ মিনিট ক্রিজে থেকে সেবার ৬০৯ বলে ৩১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
Like & Share our Facebook Page: Facebook
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা