অনলাইন ডেস্ক
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হবে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে।
ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের পর টেস্ট ফরম্যাটের বৃত্তে ঘুরপাক খাবে অস্ট্রেলিয়া। ২২ নভেম্বর থেকে আগামী বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৭টি টেস্ট খেলবে অসিরা। ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে ৫টি ও শ্রীলংকা সফরে ২টি টেস্ট খেলবে অস্ট্রেলিয়া। এরমধ্যে কোন ওয়ানডে নেই তাদের। শ্রীলংকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পর একটি ওয়ানডে খেলবে অসিরা। তাই ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
এক বছর পর ওয়ানডে দলে ফেরানো হয়েছে নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে। গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালের পর ৫০ ওভারের ক্রিকেট থেকে দূরে ছিলেন কামিন্স। এই সিরিজ দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি ভালোভাবে সাড়তে চান কামিন্স। তিনি বলেন, ‘ঠাসা সূচিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতির জন্য খুবই কম সময় পাবো আমরা। মাত্র ৪টি ওয়ানডে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি নিতে হবে। এজন্য পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই ভালোভাবে প্রস্তুতি সাড়তে হবে। আশা করি এই সিরিজে ছেলেরা ভালো ক্রিকেট খেলবে এবং নিজেদের সেরাটা উজার করে দিবে।’
পিতৃত্বকালীন ছুটির জন্য পাকিস্তান সিরিজে রাখা হয়নি অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ এবং ওপেনার ট্রাভিস হেডকে। তাদের জায়গায় দলে সুযোগ পেয়েছেন দুই ব্যাটার জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক এবং ম্যাট শর্ট। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের শুরুটা এবার তারাই করবেন।
ম্যাকগার্ক ও শর্টের কাছ থেকে উড়ন্ত সূচনা চান কামিন্স। তিনি বলেন, ‘তরুণ দুই ওপেনারের কাছ থেকে আগ্রাসী ব্যাটিং চাই। আমি চাইবো টি-টোয়েন্টির মত ওয়ানডেতে যেন দ্রুত রান তুলতে পারে তারা। প্রতিপক্ষ বোলারদের যেন কোন প্রকার ছাড় না দেয় ম্যাকগার্ক ও শর্ট।’
কামিন্সের মত বিশ্বকাপের পর ওয়ানডে দলে ফিরেছেন অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিস। দলে জায়গা ধরে রেখেছেন ইংল্যান্ড সিরিজে খেলা দুই উদীয়মান তারকা খেলোয়াড় কুপার কনোলি এবং অ্যারন হার্ডি।
প্রথম ওয়ানডেকে সামনে ইতোমধ্যে একাদশ ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন বিবেচনায় চার পেসার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে পাকিস্তান। তারা হলেন- শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হারিস রউফ ও মোহাম্মদ হাসনাইন। একাদশে নেই কোন বিশেষজ্ঞ স্পিনার। দলের প্রয়োজনের অকেশনাল স্পিনের কাজটা ভালোই করতে পারেন সাইম আইয়ুব, সালমান আগা ও কামরান গুলাম। তিনজনই মূলত ব্যাটিং অলরাউন্ডার।
এ ম্যাচে ওয়ানডে অভিষেক হবে মিডল অর্ডার ব্যাটার মোহাম্মদ ইরফান খানের। পাকিস্তানের হয়ে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা আছে তার।
এছাড়া এই সিরিজে অধিনায়ক হিসেবে পথচলা শুরু হবে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের। নিজের অধিনায়কত্ব রোমাঞ্চিত হবার চেয়ে দলের পারফরমেন্সের দিকে মনোযোগ বেশি রিজওয়ানের। তিনি বলেন, ‘নিজ দেশের অধিনায়ক হওয়াটা সম্মানের বিষয়। কিন্তু এখন আমাকে একটি দলকে সামনে দিকে এগিয়ে নিতে হবে। দল নিয়েই এখন সবচেয়ে বেশি ভাবতে হবে। দল যেন জয়ের ধারাবাহিকতায় থাকতে পারে সেটিই আমার প্রধান লক্ষ্য।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতির পাশাপাশি সিরিজ জয়কে প্রাধাণ্য দিচ্ছেন রিজওয়ান। তিনি বলেন, ‘এই সিরিজ দিয়েই আমরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি শুরু করছি। আমরা স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলতে চাই। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভালো খেলাই আমাদের মূল লক্ষ্য। নিজেদের কন্ডিশনে অস্ট্রেলিয়া খুবই ভালো দল। আমরা সিরিজ জয়ের জন্যই মাঠে নামবো।’
এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে ১০৮ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার জয় ৭০টিতে ও পাকিস্তান জিতেছে ৩৪টিতে। গত বিশ্বকাপে সর্বশেষ দেখা হয়েছিলো দু’দলের। ব্যাঙ্গালুরুতে ঐ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার জয় ছিলো ৬২ রানে।
২০০২ সালে সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিলো পাকিস্তান। এরপর দুই সিরিজের একটিও জিততে পারেনি তারা।
পাকিস্তান একাদশ: মোহাম্মদ রিজওয়ান (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), আব্দুল্লাহ শফিক, সাইম আইয়ুব, বাবর আজম, কামরান গুলাম, সালমান আগা, ইরফান খান, শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হারিস রউফ, মোহাম্মদ হাসনাইন।
অস্ট্রেলিয়া দল: প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), শন অ্যাবট, কুপার কনোলি, জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক, অ্যারন হার্ডি, জশ হ্যাজলউড, জশ ইংলিস, মার্নাস লাবুশেন, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ম্যাথু শর্ট, স্টিভ স্মিথ, মিচেল স্টার্ক, মার্কাস স্টয়নিস, এডাম জাম্পা।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা